সেদিন মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছিলেন নায়ক আলমগীর
Published: 3rd, April 2025 GMT
১৯৯২ সালে মুক্তি পায় মতিন রহমান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অন্ধ বিশ্বাস’। শাবানার এস এস প্রোডাকশন্সের তত্ত্বাবধানে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও শাবানা। খ্যাতিমান তিন অভিনয়শিল্পীর অভিনয় দর্শকপ্রিয়তার সঙ্গে ব্যবসায়িক সফলতা এনে দিয়েছিল সিনেমাটিকে। সিনেমাটিতে আলম চরিত্রে আলমগীরের অভিনয় এখনো দর্শকের মনে দাগ কাটে। সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছিলেন নায়ক আলমগীর। তবে এ সিনেমা হতে পারত আলমগীরের জীবনের শেষ সিনেমা। স্টান্টম্যান ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন এ অভিনেতা। চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
আজ ৩ এপ্রিল, চিত্রনায়ক আলমগীরের ৭৫তম জন্মদিন। এ অভিনেতার জন্মদিনে কথা হয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিক্ষক মতিন রহমানের সঙ্গে। ৩৪ বছর আগে ‘অন্ধ বিশ্বাস’ সিনেমার শুটিংয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি সামনে আনেন তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব