স্থান পরিবর্তন হলে অনেকে ঠান্ডা, কাশিতে ভুগতে শুরু করতে পারেন। কারণ স্থান পরিবর্তন মানেই আবহাওয়ার তারতম্য, পরিবর্তীত আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগতে পারে। যারা ঈদের ছুটিতে দূরে বেড়াতে গিয়েছেন তারা যাত্রাপথের ধকল সামলে উঠতেও অসুস্থবোধ করতে পারেন। স্থান পরিবর্তনের পরে সুস্থ থাকতে কি কি করণীয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বের হলে, ভিড়ের মধ্যে গেলে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে পারেন। এখান দিয়েই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এই সময় মাস্ক পরাও জরুরি। এ ছাড়া ঘাম গায়ে নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢোকা কিংবা গরম থেকে বাসায় ফিরেই ঠান্ডা পানি পান করার ফলে সর্দি, কাশি হতে পারে। সুতরাং বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এ ছাড়া সুস্থতা বজায় রাখার জন্য হাঁটা জরুরি।’’

 এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘কোনও রোগ বা শারীরিক অবস্থার জন্য যদি প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়, তা হলে একদম অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।’’ কাশি যদি দুই সপ্তাহের বেশি হয়, সর্দি একেবারে না সারে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্থান পরিবর্তন হওয়ার পরে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কোনো ধরনের গড়িমসি করা যাবে না। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ