অনেক অভিনয়শিল্পী ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
পেশাগত বা ব্যক্তিগত কাজেও অনেক তারকা অভিনেত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। স্বাভাবিকভাবে দূর দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন তারা। বিদেশের মাটিতে কেমন কাটছে এসব তারকাদের ঈদ, তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
১.
২. দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। মডেলিং, অভিনয় সবখানেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। শিমুলের সঙ্গে শ্রাবন্তীর হেনোলাক্সের বিজ্ঞাপনের কথা আজও মানুষ ভুলেননি। প্রথম সংসার ভাঙনের পর দীর্ঘদিন একা বসবাস করে ২০১০ সালের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোরশেদ আলমের সঙ্গে সংসার পাতেন শ্রাবন্তী। এরপর স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এ সংসারে শ্রাবন্তীর দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এ সংসারেও ভাঙন ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সন্তান ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। মডেল-অভিনেত্রী নাফিজা জাহানও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ঈদ আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করছেন তারা। বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে শ্রাবন্তী লেখেন, “ঈদ শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ ঈদ কাটালাম।”
৩. ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফ ফাসবির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মডেল-অভিনেত্রী মোনালিসা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। সেখানে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন মোনালিসা। নিজের একাধিক স্থিরচিত্র তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “সবাইকে ঈদ মোবারক। আশা করছি, এই ঈদ সবার জীবনে সুখ, শান্তি বয়ে আনবে।”
৪. মডেল-অভিনেত্রী ঈশিকা খান। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে লন্ডন প্রবাসী কায়সার খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এ অভিনেত্রী। এ দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে তিন পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগে করে নেন। তারই কিছু স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “আমার ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন। আলহামদুলিল্লাহ।”
৫. ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। আপাতত সেখানে সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। একটি ভিডিও পোস্ট করে শাবনূর বলেন, “সবাইকে জানাই ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তোমরা সবাই ভালো থাকবে। আমাদের জন্য দোয়া করবে।”
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বসব স করছ ন শ র বন ত প স ট কর আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।