Risingbd:
2025-04-30@23:52:03 GMT

বিদেশ বিভূঁইয়ে নায়িকাদের ঈদ

Published: 4th, April 2025 GMT

বিদেশ বিভূঁইয়ে নায়িকাদের ঈদ

অনেক অভিনয়শিল্পী ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

পেশাগত বা ব্যক্তিগত কাজেও অনেক তারকা অভিনেত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। স্বাভাবিকভাবে দূর দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন তারা। বিদেশের মাটিতে কেমন কাটছে এসব তারকাদের ঈদ, তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

১.

ঈদুল ফিতরের আগে যুক্তরাজ্যে উড়ে যান ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার স্বামী শেখ রেজওয়ান যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বসবাস করেন। স্বামীর সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতেই তার দূরদেশে উড়ে যাওয়া। সেখানে তোলা একাধিক ছবি পোস্ট করে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তাতে দেখা যায়, মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “ঈদ মোবারক।”

২. দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। মডেলিং, অভিনয় সবখানেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। শিমুলের সঙ্গে শ্রাবন্তীর হেনোলাক্সের বিজ্ঞাপনের কথা আজও মানুষ ভুলেননি। প্রথম সংসার ভাঙনের পর দীর্ঘদিন একা বসবাস করে ২০১০ সালের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোরশেদ আলমের সঙ্গে সংসার পাতেন শ্রাবন্তী। এরপর স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এ সংসারে শ্রাবন্তীর দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এ সংসারেও ভাঙন ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সন্তান ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। মডেল-অভিনেত্রী নাফিজা জাহানও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ঈদ আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করছেন তারা। বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে শ্রাবন্তী লেখেন, “ঈদ শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ ঈদ কাটালাম।”

৩. ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফ ফাসবির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মডেল-অভিনেত্রী মোনালিসা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। সেখানে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন মোনালিসা। নিজের একাধিক স্থিরচিত্র তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “সবাইকে ঈদ মোবারক। আশা করছি, এই ঈদ সবার জীবনে সুখ, শান্তি বয়ে আনবে।”


 
৪. মডেল-অভিনেত্রী ঈশিকা খান। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে লন্ডন প্রবাসী কায়সার খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এ অভিনেত্রী। এ দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে তিন পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগে করে নেন। তারই কিছু স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “আমার ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন। আলহামদুলিল্লাহ।”

৫. ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। আপাতত সেখানে সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। একটি ভিডিও পোস্ট করে শাবনূর বলেন, “সবাইকে জানাই ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তোমরা সবাই ভালো থাকবে। আমাদের জন্য দোয়া করবে।”

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বসব স করছ ন শ র বন ত প স ট কর আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ