পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য  ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমূহের জরুরী সেবা চলমান থাকায় স্থানীয় জনগণ আগ্রহের সাথে সেবা গ্রহণ করে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। 

বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঁচটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমূহ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হয়।

এসময় সেবা কেন্দ্র সমূহ থেকে নিরাপদ প্রসব সেবা, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। ধামগড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে ঈদের পূর্বের দিন এক জন ঈদের দিন একজন মোট দু'জনকে নিরাপদ প্রসব সেবা প্রদান করেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা খোদেজা আক্তার। 

সহযোগিতা করেন পরিবার কল্যাণ সহকারী সালমা আক্তার (সিএসবিএ),পরিবার কল্যাণ সহকারী মাহবুবা আক্তার স্বর্না,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো:আসাদ মাহমুদ (শান্ত)। এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন সেবা কেন্দ্র থেকে এ.

এন.সি, পি.এন.সি, পরিবার পরিকল্পনা বিভিন্ন পদ্ধতি সেবা চলমান থাকে। 

সরকারী ছুটির দিনে জরুরী সেবা ছাড়া সকল বহিঃবিভাগের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা প্রদান করায় সেবা গ্রহীতাগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। 

স্থানীয় জনগন এধরণের সেবা প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেবা কেন্দ্র সমূহের কার্যক্রম তদারকি করেন বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদানন্দ রায় ও  মেডিকেল অফিসার ডা. সোনালী আক্তার।

পরিবার পরিকল্পনার ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক'র দিকনির্দেশনায় সকল কার্যক্রম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সখ্যতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুমকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর হোসেন।

সোমবার (১৬ জুন) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, আলামত উদ্ধারের জায়গা এবং নারী ঘটিত কিছু বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করে জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি।

আটক জুনেল মিয়া নিহতের পাশের বাড়ির জাইর মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুলার ধোঁয়া ঘরে ঢোকায় বিতণ্ডা, স্বজনদের হামলায় যুবক খুন

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

জুনেল পুলিশকে জানান, আনজুম তার বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে প্রায়ই স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে আসা যাওয়া করত। সেই সুবাদে জুনেল তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। গত ১২ জুন আনজুম পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কথা বলতে বলতে জুনেল আনজুমের পিছু নেন। এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পেছন থেকে আনজুমকে জড়িয়ে ধরেন।

এসময় আনজুম চিৎকার করলে জুনেল হাত দিয়ে তার গলা চেপে ধরেন। জুনেল আনজুমকে অচেতন অবস্থায় একই এলাকার কিরিম শাহ মাজার সংলগ্ন জঙ্গলঘেরা নালায় ফেলে রেখে যান। গত ১৪ জুন আনজুমের মরদেহ উদ্ধার হয়। 

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কিরিম শাহ মাজারের উত্তর পাশে জনৈক রওশন আলীদের পারিবারিক কবরস্থানের সীমানা দেয়ালের পাশে নিহতের বোরখা ফেলে দেন জুনেল। আটক জুনেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাতে নিহতের সেই বোরখা উদ্ধার করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য।

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ