সুন্দরবনের বিপন্ন প্রাণ–প্রকৃতি উঠে এল শিল্পকর্মে
Published: 4th, April 2025 GMT
‘বনবিবি কহে, “মোর বাঘেরে দিতে পারে অ্যাসাইলাম বিদেশেতে/ জীবন ঝুঁকিতে আছে বড় বেশি মানুষের বন্দুকের গুলিতে/ মিডিয়া–পত্রিকাতে আমার বাঘের ছবিতে ভরিয়া যাইবে/ বেঙ্গল টাইগার এবার রক্ষা পাইলো অ্যাসাইলামেতে।”’
সুন্দরবনের পৃথিবী বিখ্যাত বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্বের বিপন্নতা এভাবেই বনবিবির উক্তি মিলিয়ে তুলে ধরেছেন শিল্পী সাইদুল হক জুইস। শুক্রবার থেকে রাজধানীর লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে সুন্দরবন নিয়ে তাঁর একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘বনবিবির খোঁজে’ শুরু হয়েছে।
বনবিবি সুন্দরবনের লৌকিক দেবী। লোকবিশ্বাস অনুসারে, তিনি বন রক্ষা করেন। মৌয়াল, জেলে, কাঠুরেসহ সুন্দরবনকেন্দ্রিক পেশার অনেকেই মনে করেন, বনবিবি যদি তুষ্ট থাকেন, তাহলে তাঁরা বনে থাকাকালে বাঘ, সাপ, কুমিরের ভয় থাকবে না। এই লৌকিক দেবীকে প্রতীক হিসেবে অবলম্বন করে শিল্পী সাইদুল হক জুইস তাঁর শিল্পকর্মে সুন্দরবনের বিপন্নতাকে তুলে ধরেছেন।
প্রদর্শনীতে বড় আকারের অ্যাক্রিলিকের চিত্রকর্ম, কালি–কলমের রেখাচিত্র, বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তৈরি ভাস্কর্য ও মুখোশসহ ৩০টি শিল্পকর্ম রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রবীণ শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বার্ক্ আলভী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, জুইস বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। এই প্রদর্শনীতেও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমের কাজে শিল্পসম্মতভাবে সুন্দরবনের প্রাণ ও প্রকৃতির বিপন্নতা তুলে ধরেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম বলেন, করোনার দুঃসময়ে যখন পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্নতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় শিল্পী সাইদুল হক জুইস সুন্দরবন নিয়ে এই কাজগুলো শুরু করেছিলেন। সুন্দরবনে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্যের যে বিপর্যয় ঘটেছে, শিল্পী সেই দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। শুধু সুন্দরবন নয়, বর্তমানে সারা বিশ্বেই পরিবেশের বিপর্যয় তীব্র হয়ে উঠেছে। এই বিপর্যয় রোধ করতে যে জনসচেতনতা প্রয়োজন, সেখানে এ ধরনের শৈল্পিক উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রদর্শনী চলবে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দরবন র শ ল পকর ম বনব ব
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীতে কর্মজীবী নারী হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ‘কর্মজীবী নারী হোস্টেল’ থেকে রিয়া আক্তার শান্তা (৩০) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, রিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার দোহার এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি কর্মজীবী নারী হোস্টেলেই থাকতেন। তিনি বিবাহিত। তাঁর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার পলাশপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন খন্দকার।
নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে হোস্টেলে গিয়ে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন রিয়া।
মরদেহটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।