মুসাকে দেখতে সিএমএইচে বিএনএফডব্লিউএ প্রেসিডেন্ট
Published: 5th, April 2025 GMT
অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ বাসিত খান মুসাকে (৭) দেখতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান নাদিয়া সুলতানা। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবারকল্যাণ সংঘের (বিএনএফডব্লিউএ) প্রেসিডেন্ট। হাসপাতালে পৌঁছে মুসার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে শিশুটির স্বাস্থ্যের অগ্রগতি সম্পর্কে জানেন নাদিয়া। তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। শিশুটির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে শিশুটির দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মেরাদিয়া হাট এলাকায় বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে যায় মুসা। দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরদিন দাদি মারা যান। মুসার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে আরেক পাশে যায়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ২৬ আগস্ট সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফেরে মুসা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স এমএইচ
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল