আজ থেকে আমি জয় বাংলা বলব: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
Published: 5th, April 2025 GMT
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জয় বাংলা কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্লোগান নয়; এটা স্বাধীনতার স্লোগান। যত দিন বাংলাদেশে থাকবে, তত দিন জয় বাংলা থাকবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে মায়ের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় কাদের সিদ্দিকী এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৫ বছর একবারের জন্যও জয় বাংলা বলিনি। আজ আমার মায়ের কবরের পাশ থেকে শপথ করে গেলাম, আজ থেকে আমি জয় বাংলা বলব। জয় বাংলা হবে আমাদের সবার।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকে যে নেতারা একটা বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তাঁদের আমি সাধুবাদ জানাই। তাঁরা যদি ঠিকভাবে চলতে পারতেন, তাহলে বহু বছর তাঁদের মানুষ স্মরণ রাখত। তাঁরা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমানসহ তাঁরা আমাদের কাউকে মানেন না। এটা ভালো নয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আল্লাহ আমাদের জয় দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এই যে দালানকোঠা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট—এসব কিছুই হতো না। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। কেউ কেউ মনে করে, স্বাধীনতার পতন হয়েছে। না, কোনোমতেই না।’
এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, ছেলে দ্বীপ সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, কুঁশি সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব ধ নত
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।