কথার শেষে কেন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে হয়
Published: 7th, April 2025 GMT
আল্লাহর রাসুল (সা.) চিন্তিত। অবিশ্বাসীরা তাঁকে নিয়ে উপহাস করছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বার্তাও আসছে না তাঁর কাছে। কোনো ওহি নিয়ে আসছেন না জিবরাইল (আ.)। এভাবে পনেরো দিন পার হওয়ার পর আল্লাহর তরফ থেকে নবীজির (সা.) কাছে জিবরাইল (আ.) হাজির হলেন ওহি নিয়ে।
কেন এমনটা হলো প্রিয় নবীর (সা.) সঙ্গে?
কারণ, আল্লাহর রাসুল যখন ইসলামের বাণী যখন মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তখন একবার অবিশ্বাসীরা গেল ইহুদিদের কাছে। ইহুদিরা তাদের তিনটি প্রশ্ন শিখিয়ে দিল। ১.
তাদের প্রশ্নগুলো শুনে তিনি জবাব দিলেন, ‘আগামীকাল এসো, তখন জবাব দেব।’ তিনি ‘ইনশাআল্লাহ’ বা ‘আল্লাহ চাইলে’ কথাটি বলতে ভুলে গেলেন। এ কারণে আল্লাহ তাঁর নবীর (সা.) প্রতি ওহি অবতরণ বন্ধ করে দিলেন। টানা পনেরোটা দিন। অবিশ্বাসীরা ভেবেছিলেন এবার তাকে কোণঠাসা করা গেল।
আরও পড়ুন শুক্রবারের আমল২৪ মার্চ ২০২৫পনেরোদিন পরে যে ওহি এলো, তাতে আল্লাহ তাঁর হয়ে যাওয়া ভুলটা সংশোধন করে দিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অবিশ্বাসীদের করা তিনটা প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে দিলেন। তাকে বললেন, ‘ভবিষ্যতের কোনো বিষয় ‘ইনশাআল্লাহ’ বা ‘আল্লাহ চাইলে’ বলা ছাড়া আপনি বলবেন না।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ২৩-২৪)
তাই যখন ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছে পোষণ করা হয়, তখন এই কথার স্বীকৃতি দিতে হবে যে, যদি আল্লাহ চান তা হলে হবে। তিনি যদি না চান, তাহলে হবে না। কোনো কাজ শুরু করার আগে যদি আল্লাহকে স্মরণ করা হলে, আল্লাহ খুশি হন। আর যে কাজে স্বয়ং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ খুশি, সে কাজে তার আশীর্বাদ নিশ্চয় থাকবে।
কাজ-কর্মে আল্লাহর স্মরণ করা হলে স্মরণের মাধ্যমে তাঁর বান্দা হিসেবে তাঁর প্রতি বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ পায়। কোরআনে আছে, ‘তোমাদের কোনো ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নেবে না, যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’ (সুরা তাকভির, আয়াত : ২৯)
আরও পড়ুনবিসমিল্লাহ এর ফজিলত০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//