মার্চে ১৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর
Published: 7th, April 2025 GMT
গত মার্চ মাসে ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৬৩ জন নারী ও কন্যাধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর এসেছে। ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সংকলন করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ সোমবার মার্চ মাসের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা গেছে ২৪৮ জন কন্যাশিশু (১৮ বছরের নিচে) এবং ১৯৪ জন নারী অর্থাৎ মোট ৪৪২ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৬ জন কন্যাশিশু। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাশিশুসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২ জনকে। ৯ জন কন্যাশিশুসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে ১০ জন কন্যাশিশু। একজন নারী অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী। ২ জন গৃহকর্মী (১৮ বছরের নিচে) হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন। তিনজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এ ছাড়া ৪ কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।