বন্দরে রনি (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

নিহত রনির স্ত্রী সিমু আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় বন্দরের মাধবপাশা গ্রামের হবি মিয়ার ছেলে মাসুদ  প্রকাশ ডেনি মাসুদ, তার ভাই সুমন, মাহবুব, তার ছেলে রাসেল, একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবদুর সাত্তার খন্দকার, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বশির এলাহী ও নেতা সেলিমের নাম উল্লেখ করা হয়। 

এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার মাধবপাশা এলাকা থেকে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাত্তার খন্দকার ও  সন্দেহভাজন হিসেবে ডেনি মাসুদের ভাই মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরআগে রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় ছলিমউদ্দিন ওরফে ছৈল্লা মিয়ার ছেলে রনি মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলার বাদি সিমু আক্তার জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা তার স্বামী রনিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এলাকাবাসী জানান, রনি একজন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ। তার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ উল ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু, চাঁদপুরের মাছঘাটে কর্মব্যস্ততা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে। কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।

মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে। তাছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল, সেলিম, মনির হোসেন বলেন, ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি। নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া, পাঙাশ, চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি। তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে। এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি। ‘কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন? কয়জনে কিনবো? আমরা বেঁচমো কতো?’ 
 
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, এখন নদীতে পানি কম। স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।

চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে। দাম শুনেই ফিরে গেলেন। তিনি সমকালকে বললেন, ‘আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ