সাদা বলের ক্রিকেটে আর নিউজিল্যান্ডের কোচ থাকছেন না ‘সবচেয়ে সফল’ স্টিড
Published: 8th, April 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ইতিহাসে সেরা কোচ কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগই হয়তো গ্যারি স্টিডের নামই বলবেন। সেই স্টিড নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। টেস্টেও কোচ থাকবেন কি না, তা নিয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছে ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ।
২০১৮ সালে মাইক হেসনের উত্তরসূরি হওয়ার পর সাদা বলের ক্রিকেটে তিনটি বৈশ্বিক আসরে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছেন স্টিড। ২০১৯ বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—তিনটি ফাইনাল শেষেই অবশ্য রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড দলকে।
তবে লাল বলের ক্রিকেটে স্টিডের সময়েই নিজেদের নামের পাশে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ তকমাটা লাগাতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্টিডের দল। গত বছর ভারতে গিয়ে ভারতকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করার ‘অসম্ভব’ কীর্তিও গড়ে নিউজিল্যান্ড।
২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।
তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।”
একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?
তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/এম/রফিক