Samakal:
2025-11-03@09:39:14 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

Published: 8th, April 2025 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

মহাসড়ক দখল করে আছে ২৫-৩০টি অবৈধ স্ট্যান্ড। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক, নছিমন-করিমনের মতো শত শত অবৈধ যান। হাইওয়ে পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে এসব। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চিত্র এটি। এ মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। কেননা আইনে নিষিদ্ধ হলেও মহাসড়কে প্রতিদিন বাস-ট্রাক-কোচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে এসব যান। হাইওয়ে পুলিশ যেন তা দেখেও দেখছে না। ফলে মানিকগঞ্জ থেকে আরিচা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ও বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মহাসড়কে ৩৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ১৮ জন। আহতের সংখ্যা ৪২।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কতকগুলো অবৈধ যানবাহন চলাচল করে সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। মানিকগঞ্জ হালকা যানবাহন মালিক সমিতির সদস্য সেলিম শেখ বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইকসহ প্রায় ৪০০ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে।
অটোরিকশার চালক ছালাম শেখ ও হ্যালোবাইকের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, বরংগাইলে হাইওয়ে থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে তাদের এসব অবৈধ যানবাহন চালাতে হয়।
ট্রাকচালক আফজাল হোসেন, বিল্লাল শেখ ও আতিয়ার হোসেন বলেন, গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ তাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে হয়রানি করে। পুলিশের কথা অনুযায়ী তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ না করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মামলা করে। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহনের ছড়াছড়ি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ না দেখার ভান করছে।
দিগন্ত বাসের চালক ময়নাল শেখ বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক চলাচল নিষিদ্ধ হলেও এগুলোর চালক দ্রুতগামী বাসকে সাইড দিতে চায় না। মহাসড়ক দখল করেই অবাধে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহন। এ কারণে প্রায়ই বড় গাড়ির সঙ্গে এসব অবৈধ যানবাহনের সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটছে। হাইওয়ে থানার পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের চলাচল দিন দিন বাড়ছে। 
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ যানবাহনের চালকরা অবৈধভাবেই মহাসড়কে স্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রেখেছেন। এখান থেকেই যাত্রী তুলে অবাধে চলাচল করছেন। তবু দেখার কেউ নেই। 
আরিচা, উথলী, বরংগাইল এলাকায় সিরিয়ালের নামে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা করে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এসব যানের চালকরা। 
বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী সেলিম শেখ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সংগঠনের নামে চাঁদা নেওয়া হয় না। তবে সিরিয়ালের নামে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের কেউ ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবৈধ যান চালান না। তারা অভিযান চালিয়ে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে ৮৭৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারা কোনো যানবাহনের চালককে হয়রানি করেন না বলে দাবি করেন তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট অব ধ য ন দ র ঘটন হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ