Samakal:
2025-06-16@03:56:07 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

Published: 8th, April 2025 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

মহাসড়ক দখল করে আছে ২৫-৩০টি অবৈধ স্ট্যান্ড। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক, নছিমন-করিমনের মতো শত শত অবৈধ যান। হাইওয়ে পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে এসব। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চিত্র এটি। এ মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। কেননা আইনে নিষিদ্ধ হলেও মহাসড়কে প্রতিদিন বাস-ট্রাক-কোচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে এসব যান। হাইওয়ে পুলিশ যেন তা দেখেও দেখছে না। ফলে মানিকগঞ্জ থেকে আরিচা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ও বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মহাসড়কে ৩৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ১৮ জন। আহতের সংখ্যা ৪২।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কতকগুলো অবৈধ যানবাহন চলাচল করে সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। মানিকগঞ্জ হালকা যানবাহন মালিক সমিতির সদস্য সেলিম শেখ বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইকসহ প্রায় ৪০০ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে।
অটোরিকশার চালক ছালাম শেখ ও হ্যালোবাইকের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, বরংগাইলে হাইওয়ে থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে তাদের এসব অবৈধ যানবাহন চালাতে হয়।
ট্রাকচালক আফজাল হোসেন, বিল্লাল শেখ ও আতিয়ার হোসেন বলেন, গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ তাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে হয়রানি করে। পুলিশের কথা অনুযায়ী তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ না করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মামলা করে। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহনের ছড়াছড়ি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ না দেখার ভান করছে।
দিগন্ত বাসের চালক ময়নাল শেখ বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক চলাচল নিষিদ্ধ হলেও এগুলোর চালক দ্রুতগামী বাসকে সাইড দিতে চায় না। মহাসড়ক দখল করেই অবাধে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহন। এ কারণে প্রায়ই বড় গাড়ির সঙ্গে এসব অবৈধ যানবাহনের সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটছে। হাইওয়ে থানার পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের চলাচল দিন দিন বাড়ছে। 
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ যানবাহনের চালকরা অবৈধভাবেই মহাসড়কে স্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রেখেছেন। এখান থেকেই যাত্রী তুলে অবাধে চলাচল করছেন। তবু দেখার কেউ নেই। 
আরিচা, উথলী, বরংগাইল এলাকায় সিরিয়ালের নামে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা করে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এসব যানের চালকরা। 
বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী সেলিম শেখ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সংগঠনের নামে চাঁদা নেওয়া হয় না। তবে সিরিয়ালের নামে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের কেউ ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবৈধ যান চালান না। তারা অভিযান চালিয়ে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে ৮৭৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারা কোনো যানবাহনের চালককে হয়রানি করেন না বলে দাবি করেন তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট অব ধ য ন দ র ঘটন হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি

দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?

আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।

২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।

নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।

৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ