Samakal:
2025-05-01@05:38:05 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

Published: 8th, April 2025 GMT

অবাধে চলছে অবৈধ যান

মহাসড়ক দখল করে আছে ২৫-৩০টি অবৈধ স্ট্যান্ড। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক, নছিমন-করিমনের মতো শত শত অবৈধ যান। হাইওয়ে পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে এসব। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চিত্র এটি। এ মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। কেননা আইনে নিষিদ্ধ হলেও মহাসড়কে প্রতিদিন বাস-ট্রাক-কোচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে এসব যান। হাইওয়ে পুলিশ যেন তা দেখেও দেখছে না। ফলে মানিকগঞ্জ থেকে আরিচা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ও বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মহাসড়কে ৩৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ১৮ জন। আহতের সংখ্যা ৪২।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কতকগুলো অবৈধ যানবাহন চলাচল করে সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। মানিকগঞ্জ হালকা যানবাহন মালিক সমিতির সদস্য সেলিম শেখ বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইকসহ প্রায় ৪০০ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে।
অটোরিকশার চালক ছালাম শেখ ও হ্যালোবাইকের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, বরংগাইলে হাইওয়ে থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে তাদের এসব অবৈধ যানবাহন চালাতে হয়।
ট্রাকচালক আফজাল হোসেন, বিল্লাল শেখ ও আতিয়ার হোসেন বলেন, গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ তাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে হয়রানি করে। পুলিশের কথা অনুযায়ী তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ না করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মামলা করে। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহনের ছড়াছড়ি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ না দেখার ভান করছে।
দিগন্ত বাসের চালক ময়নাল শেখ বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক চলাচল নিষিদ্ধ হলেও এগুলোর চালক দ্রুতগামী বাসকে সাইড দিতে চায় না। মহাসড়ক দখল করেই অবাধে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহন। এ কারণে প্রায়ই বড় গাড়ির সঙ্গে এসব অবৈধ যানবাহনের সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটছে। হাইওয়ে থানার পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের চলাচল দিন দিন বাড়ছে। 
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ যানবাহনের চালকরা অবৈধভাবেই মহাসড়কে স্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রেখেছেন। এখান থেকেই যাত্রী তুলে অবাধে চলাচল করছেন। তবু দেখার কেউ নেই। 
আরিচা, উথলী, বরংগাইল এলাকায় সিরিয়ালের নামে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা করে অটোরিকশা, হ্যালোবাইক থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এসব যানের চালকরা। 
বরংগাইল-নাগরপুর সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী সেলিম শেখ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সংগঠনের নামে চাঁদা নেওয়া হয় না। তবে সিরিয়ালের নামে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের কেউ ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবৈধ যান চালান না। তারা অভিযান চালিয়ে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে ৮৭৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারা কোনো যানবাহনের চালককে হয়রানি করেন না বলে দাবি করেন তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট অব ধ য ন দ র ঘটন হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ