শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক টিনএজারদের নিরাপত্তায় ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ টুলে নতুন এবং উন্নত ফিচার চালু করেছে। এই আপডেটের মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের অনলাইন ব্যবহারের উপর আরো স্বচ্ছ ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন এবং টিনএজাররা গড়ে তুলতে পারবে আরো স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস।

নতুন ফিচারের মধ্যে অন্যতম হলো ‘টাইম অ্যাওয়ে স্কেডিউলিং’, যার মাধ্যমে অভিভাবকরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ক্রিন-বিহীন সময় নির্ধারণ করতে পারবেন- যেমন স্কুল চলাকালীন সময়, ঘুমানোর সময় কিংবা ছুটির দিন। যদিও টিনএজাররা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের জন্য অনুরোধ করতে পারবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের হাতেই থাকবে।  

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হলো, এখন অভিভাবকরা দেখতে পারবেন তাদের সন্তানের নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভিটি-যারা তাদের সন্তানকে ফলো করছে, যাদের তারা ফলো করছে এবং যেসব অ্যাকাউন্ট তারা ব্লক করেছে। এই ফিচারটি অনলাইন সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা উৎসাহিত করবে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ডিজিটাল লিটারেসি দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারবেন।

এছাড়া খুব শিগগির চালু হতে যাচ্ছে একটি নতুন ‘প্রোঅ্যাকটিভ রিপোর্টিং এলার্ট’ ফিচার, যেখানে কিশোররা যদি কোনো ভিডিও রিপোর্ট করে, তাহলে তারা একই সঙ্গে অভিভাবক বা বিশ্বস্ত কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে সেটি জানাতে পারবে, এমনকি তারা ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার ব্যবহার না করলেও।

এর পাশাপাশি, টিকটক চালু করেছে ‘উইন্ড-ডাউন’ নামের একটি নতুন ফিচার, যা ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রাত ১০টার পর যদি কোনো টিনএজার  টিকটকে সক্রিয় থাকে, তবে পুরো স্ক্রিনে একটি রিমাইন্ডার শান্ত সুরের ভিডিও চলবে যা তাদের রিল্যাক্স করতে সহায়তা করবে এবং সময় সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে। এরপরও যদি ব্যবহার অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও জোরালো রিমাইন্ডার দেখানো হবে।

প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, বেশিরভাগ টিনএজার নিজেরাই এই ফিচারটি চালু রাখছেন-যা প্রমাণ করে এটি স্ক্রিন-টাইম ব্যবহারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সামনে এই ফিচারে গাইডেড মেডিটেশন যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা ঘুমের মান উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। 

টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “টিকটক সব সময় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। ফ্যামিলি পেয়ারিং-এর এই নতুন আপডেটগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছি এমন সব টুল, যা ডিজিটাল জগতে টিনএজারদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে সহায়তা করবে। নিরাপদ ও ইতিবাচক অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করতে টিকটক সব সময় সচেষ্ট।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র প রব ন ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ