অনেকেরই বদহজমের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা এড়াতে কেউ কেউ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খান। যা ঠিক নয়। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই বদহজমের সমস্যা দূর করা সম্ভব। 

বদহজম এবং অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে যা করতে পারেন-

১. সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। তেলমসলা, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 
২.

খাবার খাওয়ার পর পরই পানি খাওয়া ঠিক নয়।  এর ফলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
৩. খুব পেট ভরে খাবার কখনই খাবেন না। একসঙ্গে অনেকটা খাবার না খেয়ে বার বার অল্প করে খেতে হবে। 
৪. বেশি রাত করে রাতের খাবার না খাওয়াই ভালো।

বদহজমের সমস্যা দূর করতে যা খাবেন-

১.নিয়মিত অল্প পরিমাণে টক দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস থাকে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা দূর হবে। 

২. প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আদা চিবিয়ে খান। চাইলে আদার রস দিয়ে চা খেতে বা গরম পানিতে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা বদহজম এবং পেট ফেঁপে থাকার সমস্যা দারুণ ভাবে দূর করে। 

৩. রোজ অল্প পরিমাণে পাকা পেঁপে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর হবে ভালভাবে। আর পাকা পেঁপে খেলে বদহজমের সমস্যা দূরে থাকবে। 

৪. সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় খাবার খান। এইসব শাকপাতায় প্রচুর ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফেঁপে থাকার সমস্যা কমে। 
৫. নিয়মিত ওটস খেতে পারেন। ডায়েটারি ফাইবার যুক্ত ওটস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। পেটের নির্দিষ্ট এই সমস্যা দূর হলে, বদহজম হবে না। এর ফলে গ্যাস, অম্বল, পেট ফেঁপে থাকার সমস্যাও দেখা দেবে না। 
৬. নিয়মিত অল্প পরিমাণে চিয়া সিড এবং কলা খেলে পারেন। এই দুই উপকরণই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর অন্ত্র ভাল থাকলে বদহজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা দূর হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদহজম অন ত র র স ব স থ য দ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ