কুমিল্লায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ২
Published: 10th, April 2025 GMT
কুমিল্লায় চাল বোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছের। এতে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকায় ঢাকাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইলিয়েটগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি দেওয়ান কাওসিক আহাম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গভীর রাতে মহাসড়কে পুটিয়া নামক স্থানে চাল বোঝাই ট্রাক ও প্লাস্টিকের ড্রাম বোঝাই কাভার্ড ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও ট্রাকের হেলপার নিহত হন। এ সময় আরও দুজন আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতরা হলেন- কাভার্ড ভ্যানের চালক বেলাল হোসেন (৩০)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার দুদু মিয়ার ছেলে। আর ট্রাকের হেলপার ইয়াকুব (৩৫)। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোস্তফার ছেলে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ ই
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?