মানুষের পৃথিবী বিজয়ের ফল ভালো হয়নি : গুন্টার গ্রাস
Published: 10th, April 2025 GMT
বরেণ্য জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও ভাস্কর। তাঁর শিল্প ও সাহিত্যকর্মে সাহিত্যের স্বকীয় ধারা বিকশিত। মানবিক শুভবোধ, মুক্তির সংগ্রাম, আগ্রাসী রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বরাবর তাঁর লেখার উপলক্ষ হয়েছে। ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। দ্য টিন ড্রাম, ক্যাট অ্যান্ড মাউজ, পিলিং দ্য ওনিয়ন প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত রচনা। নোবেল বিজয়ের ২ বছর আগে বিখ্যাত সাহিত্যপত্র প্যারিস রিভিউর মুখোমুখি হন গ্রাস। সেই অমূল্য আলাপচারিতার খানিকটা উপস্থাপিত হলো। ভাষান্তর করেছেন হুমায়ূন শফিক
lআপনি যখন কোনো কাজের মধ্যে থাকেন, তখন আপনার প্রতিদিনের রুটিন কেমন হয়?
গুন্টার গ্রাস: প্রথম খসড়ার কাজের সময় প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত পাতা লিখি। তৃতীয় খসড়ার সময় প্রতিদিন লিখি মাত্র তিন পাতা। এই সময়ে গতি স্লো হয়ে যায়।
lসকালে, বিকেলে না রাতে– কখন লেখেন?
ll রাতে কখনও আমি লিখি না। রাতে লেখায় আমার বিশ্বাসও নেই। কারণ রাতের বেলা লেখা গড়গড় করে চলে, খুব সহজেই হয়। পরের দিন সকালে যখন পড়ি, দেখি লেখাটি ভালো হয়নি। লেখা শুরুর জন্য আমার চাই দিনের আলো। সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে আমি নাশতা করি। এবং সেই সময়ে আমার সঙ্গী হয় গান। সঙ্গে চলে পড়াশোনা। এরপর কাজে বসি। দুপুরের পরে নেই কফি বিরতি। আবার কাজ শুরু করি এবং তা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে।
lবইটি লেখার কাজ শেষ হয়েছে, কী করে বোঝেন?
llযখন কোনো মহাকাব্য ধরনের বই রচনা শুরু করি, তা চালিয়ে যাই ধীরগতিতে। খসড়া শেষ করতে আমার চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। আমার ভেতরটা যখন ফাঁকা হয়ে যায়, তখনই বুঝতে পারি বইয়ের কাজটিও এখন শেষ।
lব্রেখট সব সময়ই তাঁর সাহিত্যকর্মের পুনর্লিখন করতেন। এমনকি বই আকারে প্রকাশ পাওয়ার পরও তিনি সেগুলো সম্পূর্ণ মনে করতেন না।
llআমি তাঁর মতো ওই রকম করতে পারতাম না। আমি আমার জীবনের বিশেষ একটা পর্বে ‘দ্য টিন ড্রাম’ কিংবা ‘ফ্রম দ্য ডায়েরি অব এ স্নেইল’ লিখতে পেরেছি। আমার জীবনের ওই পর্বে কীভাবে চিন্তা করতাম, অনুভব করতাম, এরই ছাপ পাওয়া যাবে এই বইগুলোতে। আমি শিওর যদি ‘দ্য টিন ড্রাম’, ‘ডগ ইয়ারস’ বা ‘ফ্রম দ্য ডায়েরি অব এ স্নেইল’ পুনর্লিখন করতে যেতাম, তাহলে সেগুলো ধ্বংস করা ছাড়া আমার উপায় থাকত না।
lআপনার লেখার মধ্যে কোনটা ফিকশন আর কোনটা ননফিকশন– এর পার্থক্য কীভাবে করেন?
llএই ‘ফিকশন বনাম ননফিকশন’ ব্যাপারটি ব্যবসা হিসেবে একটা কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাপার। এই রকম শ্রেণিবিন্যাস বই বিক্রেতাদের জন্য জরুরি। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে তা পছন্দ করি না। আমি সব সময় একটি কল্পনা করি যে, বই বিক্রেতাদের কিছু কমিটি মিটিং করছে এটা জানার জন্য যে, কোন বইগুলো ফিকশন আর কোনগুলো ননফিকশন। এটিকে আমি বলি, বই বিক্রেতারা যেটা করেন তাই হচ্ছে আসলে ফিকশন।
lআপনার সাহিত্যকর্মে বিচিত্র বিষয় আপনি একত্র করেন; যেমন– ইতিহাস, গীতিকাব্য .
ll... আর ড্রয়িং, কবিতা, সংলাপ, উদ্ধৃতি, ভাষণ, পত্রাবলি! দেখুন, মহাকাব্যিক কোনো কাজ করতে গিয়ে ভাষার সচরাচর যেসব রূপ আছে ও ভাষাতাত্ত্বিক যোগাযোগের যে বিচিত্র গঠন রয়েছে, এর সবক’টার ব্যবহার আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
lলেখালেখি কি আনন্দহীন ও বেদনাদায়ক?
llএটা কিছুটা ভাস্কর্য গড়ার মতো। ভাস্কর্য তৈরির সময় তার প্রতিটি পাশেই আপনাকে কাজ করতে হবে। একদিকে একটু বদল আনলে অন্যদিকেও পাল্টাতে হবে। হঠাৎ কোনো একটা বিষয় বদলে দিলে ... পুরো ভাস্কর্যও পাল্টে যাবে! ভাস্কর্যের মধ্যে সংগীত থাকে। এক টুকরা লেখার ক্ষেত্রেও এটি সত্য। প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় খসড়া করতে এমনকি, একটা দীর্ঘ বাক্য লিখতে দিনের পর দিন আমাকে কাজ করতে হতে পারে। আপনি জানেন, আমি একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে পছন্দ করি। আমি শুধু কাজই করে যাই।
l‘দ্য র্যাট’, ‘দ্য ফ্লাউন্ডার’, ‘ফ্রম দ্য ডায়েরি অব এ স্নেইল’ কিংবা ‘ডগ ইয়ারস’-এর মতো অনেক বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে পশুরা। এর কি বিশেষ কোনো কারণ আছে?
llসম্ভবত। আমি সব সময় ভাবি যে, আমরা মানব প্রজাতি নিয়ে খুব বেশি কথা বলি। আমাদের পৃথিবী গিজগিজ করছে মানুষে। তেমনই এতে রয়েছে অসংখ্য পশু, পাখি, মাছ ও অগণিত পোকামাকড়। পৃথিবীতে মানুষ আসার আগে থেকেই এরা ছিল এবং মানুষ বিলুপ্ত হওয়ার পরও এরা পৃথিবীতে থেকে যাবে। এদের সঙ্গে আমাদের একটা পার্থক্য আছে– কয়েক লাখ বছর আগে পৃথিবীতে রাজত্ব করত, এমনসব অতিকায় ডাইনোসরের হাড়গোড় জাদুঘরে আমরা পাই। এবং তারা যখন মারা গেল, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই মারা গেল। কোনোরকম বিষ ছাড়াই। এদের হাড়গুলো সব পরিষ্কার। সেগুলো আমরা দেখতে পারি। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে একই কাজ সম্ভব নয়। আমরা যখন মারা যাই, সেখানে বিষের ছড়াছড়ি। নিঃশ্বাস নিতে গেলেও ভয় লাগে। আমাদের নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে হবে যে, এই পৃথিবীতে শুধু মানুষই বসবাস করে না। অবশ্য বাইবেল আমাদের একটা কুশিক্ষা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মানুষ আধিপত্য বিস্তার করেছে মাছ, পশুপাখিসহ সব প্রাণীর ওপর। আমরা পৃথিবী জয় করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এর ফল খুবই বাজে হয়েছে।
l মানুষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আপনার ধারণা?
ll যতক্ষণ এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস করা দরকার, ততক্ষণ পর্যন্তই আমাদের ভবিষ্যৎ। এক শব্দে এই ব্যাপারে বলা সম্ভব নয়। একটিমাত্র শব্দে এই প্রশ্নের জবাব আমি দিতে চাই না। একটি বই আমি লিখেছি ‘দ্য র্যাট’–‘দ্য শি-র্যাট’, ‘দ্য র্যাটেসা’। এর বেশি কী চান আপনি? আপনার প্রশ্নের দীর্ঘ উত্তরই হচ্ছে এই বই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ স কর য ক জ করত আম দ র ফ কশন র সময় আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?
বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।”
একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।”
শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।”
শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।”
শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি।
১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।
দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।
১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।
একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।
ঢাকা/শান্ত