পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে হেরেছে রিশাদের লাহোর
Published: 12th, April 2025 GMT
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরে বহু আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে যে খেলেন টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশীদের। এই ম্যাচে খেলানো হয়নি রিশাদকে। তাঁর দল লাহোরও ম্যাচটা জিততে পারেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে লাহোরকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহোর ১৯.
১৪তম ওভারে লাহোরের পঞ্চম উইকেটের পতন হয় দলীয় ৯৩ রানে। শফিক ও সিকান্দার রাজা পঞ্চম উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়লেও হোল্ডার ও শাদাব খানের বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। হোল্ডার ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন, আর অধিনায়ক শাদাব ৩.২ ওভারে ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রান তুললেও হারায় আন্দ্রিস গাউসকে। এরপর কলিন মুনরো ও সাহিবজাদা ফারহান দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন। ফারহান ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হলেও মুনরো ও সালমান আলি আগা দলের জয় নিশ্চিত করেন।
মুনরোর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৫৯ রান তিনি তাঁর ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ১ ছক্কায়। অন্যদিকে সালমানও খেলেন হার না মান ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কা। ১৭.৪ বলে ৮ উইকেট হারে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ।
মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল লিটন দাসের করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে রিশাদের লাহোর।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক
রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।
চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে।
বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ