শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরে বহু আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে যে খেলেন টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশীদের। এই ম্যাচে খেলানো হয়নি রিশাদকে। তাঁর দল লাহোরও ম্যাচটা জিততে পারেনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে লাহোরকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহোর ১৯.

২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। কেবল আবদুল্লাহ শফিককের ব্যাটিং ছিল টি-টোয়েন্টি সুলভ। তিনি ৩৮ বলে ৬৬ রান করেন। এছাড়া সিকান্দার রাজা ২৩, ড্যারিল মিচেল ১৩ এবং হারিস রউফ ১০ রান করেন।

১৪তম ওভারে লাহোরের পঞ্চম উইকেটের পতন হয় দলীয় ৯৩ রানে। শফিক ও সিকান্দার রাজা পঞ্চম উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়লেও হোল্ডার ও শাদাব খানের বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। হোল্ডার ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন, আর অধিনায়ক শাদাব ৩.২ ওভারে ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রান তুললেও হারায় আন্দ্রিস গাউসকে। এরপর কলিন মুনরো ও সাহিবজাদা ফারহান দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন। ফারহান ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হলেও মুনরো ও সালমান আলি আগা দলের জয় নিশ্চিত করেন।

মুনরোর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৫৯ রান  তিনি তাঁর ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ১ ছক্কায়। অন্যদিকে সালমানও খেলেন হার না মান ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কা। ১৭.৪ বলে ৮ উইকেট হারে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ।

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল লিটন দাসের করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে রিশাদের লাহোর।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ