ইংল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে নাইটহুড প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘পদত্যাগ সম্মাননা তালিকায়’ ঋষি সুনাক এই নাম সুপারিশ করে গিয়েছেন। সুপারিশ করা নামে নাইটহুডের জন্য একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন অ্যান্ডারসন। আনুষ্ঠানিকভাবে নাইটহুড ঘোষণার পর, অ্যান্ডারসনের নামের ‘স্যার’ যুক্ত হয়ে যাবে।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলে অ্যান্ডরসনের অভিষেক হয়েছিল ২০০২ সালের ভ১৫ ডিসেম্বর। ৪২ বছর বয়সী এই পেসার ২০২৪ সালের জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সফলতম পেসার। অ্যান্ডারসনের ঝুলিতে রয়েছে ৭০৪টি উইকেট। শুধুমাত্র দুই স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০) এবং শেন ওয়ার্ন (৭০৮) তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাদা বলে অ্যান্ডারসনের শিকার ২৮৭টি উইকেট।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন অ্যান্ডারসনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “স্যার জিমি অ্যান্ডারসনকে অনেক অনেক অভিনন্দন। এই সম্মান একজন ইংলিশ কিংবদন্তির প্রাপ্য। তার দক্ষতা, নিষ্ঠা এবং খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব শুধু ইংল্যান্ডেই নয়, সারা বিশ্বের খেলোয়াড় এবং ভক্তদের অনুপ্রাণিত করেছে।”
ইসিবির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেও অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করা হয়, “স্যার জিমি অ্যান্ডারসন! আপনার সঙ্গে নামটা বেশ মানিয়েছে।”
‘রিজিগনেশন অনার্স লিস্ট’ যুক্তরাজ্যের একটি প্রথা, যেখানে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীগণ বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য মনোনয়ন দেন।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ন ড রসন রসন র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুলার ধোঁয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা, স্বজনদের হামলায় যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় চুলার ধোঁয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ভাই-ভাবি-ভাতিজার হামলায় আহত হয়ে মনির হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়ার নন্দ দিঘিরপাড় গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত মনির হোসেন উড়শিউড়ার নন্দ দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। মনির পেশার দিনমজুর ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এবং সাত ও দেড় বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মনিরের বড় ভাই বাবুল মিয়ার (৫৫) স্ত্রী জুবায়দা বেগম (৪৫) একটি মাটির চুলা নিয়ে মনিরের বসতঘরের দরজার সামনে রান্না বসান। মাটির চুলার ধোঁয়া বসতঘরে প্রবেশ করলে মনির আপত্তি জানান। এতে বাবুলের স্ত্রী উচ্চস্বরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। মনির প্রতিবাদ করলে বাবুল মিয়ার ছেলে শাওন মিয়া (১৫) এগিয়ে এসে চাচা মনিরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শাওন দা নিয়ে মনিরকে মারতে এগিয়ে এলে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় বড় ভাই বাবুল, সাচ্চু, সাচ্চুর স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৩) ও ছেলে ইমন (২৬) এবং শাওন লাঠি ও কাঠ দিয়ে মনিরকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ইট দিয়ে মনিরের মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন মনিরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে শহরের বেসরকারি সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মনিরের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সাতটার দিকে ইসিজি পরীক্ষায় কোনো স্পন্দন না পাওয়ায় ওই রোগীকে মৃত ঘোষণা করি।’
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, ‘বসতঘরের সামনে মাটির চুলা এনে রান্না শুরু করেন বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকবক করছিলেন। আমার স্বামী পাল্টা কথা বলেন। এতে ভাতিজা শাওন দা নিয়ে স্বামীকে মারতে এগিয়ে আসে। স্বামীর বড় ভাই বাবুল ছেলেরে বলেছে, “ওরে ধর বেশি করে বাইরা।” তখন বাকিরা লাঠি, কাঠ ও ইট দিয়ে মারধর করে। শাওন আগেও স্বামীকে মারতে এসেছিল।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাটির চুলার ধোঁয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়ার উৎপত্তি। নিরীহ ছেলেটাকে একা পেয়ে তারা সবাই মারধর করে মেরে ফেলেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বাবুল মিয়াসহ অন্যদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম রকীব উর রাজা ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান। সদর থানার কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।