ইউটিউবের নতুন এআই দিয়ে তৈরি করা যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, তবে...
Published: 12th, April 2025 GMT
কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নতুন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) সংগীত তৈরির টুল তৈরি করেছে ইউটিউব। ‘মিউজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট’ নামে পরিচিত এই সুবিধার মাধ্যমে নির্মাতারা এখন নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন ভিডিওর সঙ্গে মানানসই ইনস্ট্রুমেন্টাল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। রয়্যালটি ফ্রি এই ট্র্যাকগুলো ইউটিউবের ‘ক্রিয়েটর মিউজিক’ প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে।
সাধারণত ভিডিও নির্মাতাদের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুঁজে পাওয়া বা লাইসেন্স করার বিষয়টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউটিউবের নতুন এই উদ্যোগে সেই প্রক্রিয়াটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সুবিধার ফলে নির্মাতারা সহজ ভাষায় লিখে জানাতে পারবেন, কী ধরনের সংগীত তাদের প্রয়োজন। ইনপুট হিসেবে কোন বাদ্যযন্ত্র থাকবে, সংগীতের আবহ বা মুড কেমন হবে এবং এটি কী ধরনের ভিডিওর জন্য ব্যবহৃত হবে, তা লেখা যাবে। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে এআই টুলটি একাধিক মিউজিক অপশন তৈরি করে দেবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে ট্র্যাকগুলোর নির্দিষ্ট উপাদান যেমন গতি, মুড কিংবা যন্ত্রের উপস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগও পাবেন।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক যেসব নির্মাতা ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত এবং ‘ক্রিয়েটর মিউজিক’ প্ল্যাটফর্মে অ্যাক্সেস রয়েছে, তারাই মিউজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে পারছেন। এই টুলটি ইউটিউবের পূর্ববর্তী এক্সপেরিমেন্ট ‘ড্রিম ট্র্যাকস’-এর হালনাগাদ সংস্করণ বলা যেতে পারে। তবে ড্রিম ট্র্যাকসের মাধ্যমে যেখানে শুধু স্বল্প দৈর্ঘ্যের সুর তৈরি করা যেত, মিউজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে নির্মাতারা এখন পূর্ণাঙ্গ ও দীর্ঘস্থায়ী ইনস্ট্রুমেন্টাল ট্র্যাক তৈরি করা যাবে।
মিউজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে তৈরি করা প্রতিটি সুর নির্মাতারা বিনা খরচে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আলাদা করে লাইসেন্স কেনার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খোঁজার ঝামেলা যেমন কমবে, তেমনি ভিডিও নির্মাণে সময় বাঁচবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।