নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ে নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে বড় ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন মো. সাকিব (২৪) নামের এক যুবক। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে ডেকে আত্মসমর্পণ করেছেন।  

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নিহত রাকিব উদ্দিনের (৩০) স্ত্রী তাজ নাহার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরচেঙ্গা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত রাকিব উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। হত্যাকারী মো.

সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাকিব আগে তিনটি বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন আগে তিনি চতুর্থ বিয়ে করেন। চতুর্থ বিয়ে নিয়ে শুক্রবার রাত ২টায় নিজ বাড়িতে বড় ভাই রাকিবের সঙ্গে সাকিবের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাকিব উত্তেজিত হয়ে রাকিবের বুকে ও বুকের পাশে ছুরিকাঘাত করেন। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত রাকিবকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ছুরিকাঘাতের পর সাকিব নিজেই জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বড় ভাইকে খুন করার বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।  

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেছেন, রাকিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। 

ঢাকা/সুজন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ