নববর্ষের শোভাযাত্রা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 13th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেখান-সেখান দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেছেন।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনা বটমূলে ডিএমপির নিরাপত্তা–পরিকল্পনা ও মহড়া আজ রোববার দুপুরে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাজ্জাত আলী।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি, টিএসসি হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার পুরো রুট নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। পাশ থেকে, বিকল্প পথে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করা যাবে না। শোভাযাত্রার সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে, সেটি বন্ধ থাকবে। সে সময় কেউ এই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবে না।
শোভাযাত্রায় যাঁরা অংশ নিতে চান, তাঁদের সুবিধার্থে একটি ‘ম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, শোভাযাত্রার মাথা থাকবে চারুকলার সামনে। আর শোভাযাত্রার লেজ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে। এর বাইরে মাঝখান দিয়ে কোনোভাবেই কারও শোভাযাত্রায় প্রবেশের সুযোগ নেই। শোভাযাত্রায় যাঁরা যোগদান করবেন, তাঁদের শাহবাগ মোড় থেকে অথবা ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে যাঁরা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চান, তাঁরা শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় দিয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাবি উপাচার্যের বাংলোর সামনে থেকে অংশ নেবেন।
এই উৎসবমুখর অনুষ্ঠান যাতে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই নির্বিঘ্নে উদ্যাপন করতে পারেন, সে জন্য ডিএমপি ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ উদ্যাপিত হবে। উৎসবের টানে নগরবাসী সমবেত হবেন রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, রবীন্দ্রসরোবর ও হাতিরঝিল এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে। এককথায় পুরো ঢাকা নববর্ষ উদ্যাপনে প্রস্তুত। উল্লিখিত এলাকা ছাড়াও ঢাকার অধিকাংশ স্থানে নববর্ষের উৎসব উদ্যাপিত হবে।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, নববর্ষ উদ্যাপনে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য পয়লা বৈশাখকেন্দ্রিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট থাকবে। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সহযোগিতা করবে। এখন পর্যন্ত কোথা থেকে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে ইউনিফর্ম ও সাদাপোশাকধারী পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে উল্লেখ করেন সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থলে ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেড থাকবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রুটগুলো সিসি ক্যামেরা, স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট প্যাট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াত ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
ইভ টিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধ সাদাপোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের দল মোতায়েন থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ থাকবে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও সাইবার প্যাট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নববর্ষকেন্দ্রিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার রোধে নজরদারি করা হচ্ছে।
নববর্ষে অংশ নিতে আসা নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, সবার নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশিকাজে তিনি সহযোগিতা কামনা করছেন। অনুষ্ঠানস্থলে কোনো ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য তিনি অনুরোধ করছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে, অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে। কোনো ধরনের আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো যাবে না। শব্দদূষণ হয়—এ ধরনের কোনো বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। বিশেষ করে শোভাযাত্রায় ও অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান শুরু হবে সকালে। এই অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময় শেষ হবে। ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তিনটি গেট দিয়ে ঢুকতে হবে রমনা বটমূলে। তবে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়া যাবে দুটি গেট ব্যবহার করে।
ছায়ানটের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আগ্রহী নগরবাসীর উদ্দেশে সাজ্জাত আলী বলেন, যাঁরা নারী ও শিশু সঙ্গে নিয়ে আসবেন, তাঁরা যেন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভিড় এড়িয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন। তাঁরা যেন প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্ধারিত গেট ব্যবহার করেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে।
আগুন দেওয়ায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবেডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আগামীকাল সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্তের আগে কোনো কথা বলি না। মামলা তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তে আমরা খুব নিকটে পৌঁছে গেছি। আশা করছি, আগামীকাল শোভাযাত্রার শুরুর আগেই আমরা সন্তোষজনকভাবে মামলাটা ডিটেকশন (খুঁজে বের করা) করতে পারব।’
চারুকলা নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল কি না, সেখানে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, এ নিয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স জ জ ত আল র অন ষ ঠ ন ছ য় নট র নববর ষ প রব শ চ র কল তদন ত ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ হাজার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫ হাজার মিশুক
এখন পুরো শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত মিশুক। যেন মানুষের চাইতে এ শহরে মিশুকের সংখ্যা বেশি। রেজিস্ট্রেশনের দোহাই দিয়ে তারা রীতিমত রাজত্ব করে চলেছে এ শহরে। যেখানে বাড়তি যানবাহনের চাপে নগরবাসী কোণঠাসা, সেখানে এ হাজার হাজার মিশুক মানুষকে আরও পাগল করে তুলছে।
এখন প্রশ্ন হলো, কোথা থেকে আসলো এত মিশুক? নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কি এত হাজার হাজার মিশুকের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে?
এক জরিপে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে মাত্র ১৭ হাজার ৩শ ৪২টি মিশুককে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মিশুক চলছে কমপক্ষে ৪৫ হাজারেরও বেশি। এবং তারা সবাই বলছে তাদের মিশুক রেজিস্ট্রেশন করা। তাহলে তারা এত মিশুকের রেজিস্ট্রেশন পেল কোথা থেকে?
অনুসন্ধানে জানাগেছে, একটি মিশুকের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি মিশুক চলছে এ শহরে। কিছু অসাধু মিশুক মালিকরা সিটি কর্পোরেশনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে একটি মিশুকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নকল করে আরও দশটি মিশুকের পিছনে সাঁটিয়ে পুরো দমে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
শুধুমাত্র নাম্বার ভিন্ন ছাড়া রেজিস্ট্রেশন কার্ডগুলো দেখতে প্রায় একই রকম হওয়ায় বুঝার উপায় নেই যে, কোনটা আসল আর কোনটা নকল। আর এ সুযোগটিকেই কাজে লাগিয়ে ওই চক্রটি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই চক্রটির কারণে হাজার হাজার মিশুকের চাপে শহরে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট, আর এ যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নগরবাসী।
শুধু তাই নয়, ওই মালিক চক্রটির কারণে প্রকৃত মিশুক মালিকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারা এ বিষয়ে একাধীকবার সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যকর্মীদের।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের চরম গাফলতির কারণেই শহরের আজ এ অবস্থা। তাদের নিয়মিত অভিযান থাকলে কোনভাবেই এ শহরে রেজিস্ট্রেশনবিহিন কোন মিশুকই চলতে পারবে না। তারা কি এ শহর দিয়ে চলাচল করে না? নাকি বিমানে চলে?
তারা যদি এ শহর দিয়েই চলাচল করে থাকে, তাহলে তাদের চোঁখে কি পড়েনা এসব অনিয়ম। তারা কেন এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? নগরবাসীর এত দুর্ভোগ পোহলেও শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা কেন এতটা উদাসীন। যদি তারা না পারে জনসম্মুখে বলুক, ছেড়ে দিক চেয়ার। সরকার অন্যজনকে বসাক। কিন্তু না।
তারা সেটা করবে না। আপনারা কাজও করবেন না আবার চেয়ারও আকড়ে ধরে রাখবেন, এ দু’টো একসাথে চলতে পারে না। হয় কাজ করুন, জনদুর্ভোগ দূর করুন আর নয়তো সব ছেড়ে দিয়ে চলে যান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ^াস বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট নিরসনের জন্য সিটি কর্পোরেশন আগে যে রিকশার লাইসেন্সগুলো ছিলো, সেগুলোকে কনর্ভাট করে মিশুকের নামে দিয়েছে। কিন্তু পরবির্ততে কিছু দুষ্ট লোক সেই লাইসেন্সগুলোকে রাতারাতি কপি করে ফেলে।
এ কপি করার ফলে শহরে মিশুকের সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে যানজট নিরসনে সিটি কর্পোরেশন যে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো সেটা অনেকাংশে ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ, একই নাম্বারের গাড়ী যদি ৫টা ছয়টা চলে তাহলে কিভাবে যানজট নিরসন হবে। একই নাম্বারের গাড়ী একটিই থাকতে হবে। তাহলে গাড়ীর সংখ্যাও কম থাকবে আবার যানজটও কমে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা হাতে নাতে একটি প্রিন্টিং প্রেসে মিশুকের প্লেট জাল করতে দেখে সিটি কর্পোরেশন এবং থানার ওসিকে কল করেছিলাম। আমরা অনেকক্ষন অপেক্ষা করেছিলাম ভাবছিলাম, হয়তো আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু আমরা প্রায় তিনঘন্টা অপেক্ষা করার পর যখন দেখলাম তাদের কোন সাড়াশব্দ নাই, তখন এক কথায় নিরাশ হয়ে ফিরে যাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা যারা প্রকৃত মিশুক মালিক রয়েছি আমরা নিজেরাও এ বিষয়ে খুব চিন্তার মধ্যে থাকি। কারণ, জানিনা ওই দুষ্ট লোকেরা আবার আমাদের গাড়ীর লাইসেন্সের কপি করে ফেলছে কি না! যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে ধরা খেলেতো আমারও সমস্যা হতে পারে।
এমনও হতে পারে কপি করার অপরাধে আমার নিজের লাইসেন্সই বাতিল করে দিতে পারে সিটি কর্পোরেশন। তখন কি তাদেরকে আমি বুঝাতে পারবো যে, আমি এটা করি নি। তাই বলছি, এসব বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সবশেষ তিনি একটি সুখবর দিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটা ডিজিটাল প্লেট দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। যদি সেটা করা হয় তাহলে এ প্লেটটা কোনভাবেই কপি করা সম্ভব নয়। এটা রংপুরেও হয়েছে। আর আমরা এটা যাচাই করেও দেখেছি। ওই প্লেটটা হাতে পেলেই আশাকরছি নকল নাম্বার নিয়ে যে মিশুকগুলো চলছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।