গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে তাদের লড়াইটা ছিল কেবল এগিয়ে যাওয়ার। সেই লড়াইয়ে ব্রাদার্সকে পাত্তাই দেয়নি তারা। ৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে গাজী গ্রুপ জিতেছে। যে জয়ের নায়ক লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দকী। বল হাতে ৬ উইকেট পেয়েছেন তরুণ স্পিনার।

তার দ্যুতিময় বোলিংয়ে ম্লান হয়েছে ব্রাদার্সের জাহিদুজ্জামানের সেঞ্চুরি। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৩০১ রানের বিশাল পুঁজি পায়। জবাব দিতে নেমে ব্রাদার্স করতে পারে ২৫০ রান। ৪৩.

১ ওভারে তারা গুটিয়ে যায়। ওয়াসি ১০ ওভারে ৫২ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান শামীম মিয়া, আবু হাসিম ও সাদিকুর রহমান।

ব্রাদার্সের হয়ে ব্যাট হাতে জবাব দিয়েছিলেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও জাহিদুজ্জামান। ওপেনার মাহফিজুল ৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। জাহিদুজ্জামান ৯২ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রানের ইনিংসটি খেলেন। তার সাজঘরে ফেরার পরই মূলত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

অশোভন আচরণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তাওহীদ, ক্ষোভ প্রকাশ

আনিসুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীকে হারাল মোহামেডান

এর আগে গাজী গ্রুপের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ৯০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় শামসুর তার ইনিংসটি খেলেন। এছাড়া মুনিম শাহরিয়ার ৩৫, এনামুল হক বিজয় ৩৭ রান করেন। শেষ দিকে সালমান হোসেন ইমনের ৫১ ও শামীম মিয়ার ৪২ রানের সুবাদে তাদের পুঁজি তিনশ পেরিয়ে যায়। ব্রাদার্স সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি।

ব্রাদার্সের হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেন সুমন খান। দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে অবস্থান করছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ১১ ম্যাচে ৮ জয় তাদের। অন্যদিকে ব্রাদার্স ১১ ম্যাচে ৮ পরাজয়ে চলে গেছে রেলিগেশন লিগে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ