সাইকেলে হিমালয়ের অন্নপূর্ণা জয় করেছেন জাবি শিক্ষার্থী
Published: 13th, April 2025 GMT
প্রথম বাংলাদেশি এবং বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম আইকনিক বেসক্যাম্প অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প-এ সাইকেল নিয়ে সামিট করেছেন তোজাম্মেল হোসাইন মিলন। এছাড়া, একই অভিযানে একক ব্যক্তি হিসেবে তিনি তিলিচো হ্রদ, থরং লা পাস, অন্নপূর্ণা সার্কিট এবং অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প এ চারটি চূড়ান্ত গন্তব্য সাইকেলে সম্পন্ন করেছেন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রথম।
গত ১৭ মার্চ যাত্রা শুরু করে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে গত ২ এপ্রিল অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে পৌঁছিয়ে তিনি এ বিরল রেকর্ড গড়েন। গত ৭ এপ্রিল নেপালে কাঠমন্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে তার এ অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদ প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন:
‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে জাবির শিক্ষার্থীদের সংহতি
জাবিতে মেট্রোরেলের স্টেশন দাবি শিবিরের
মিলনের জন্ম পাবনা জেলায়। তবে বাবার চাকরিসূত্রে তার শৈশব, কৈশোর ও পড়াশোনা সবই গাজীপুরের জয়দেবপুরে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে (৪২ ব্যাচ) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার চারটি গন্তব্যের মধ্যে অন্নপূর্ণা সার্কিট নেপালের হিমালয় অঞ্চলের একটি বিশ্ববিখ্যাত ট্রেকিং রুট, যা অন্নপূর্ণা পর্বত শ্রেণিকে ঘিরে প্রায় ১৩০ থেকে ২৩০ কিলোমিটার বিসতৃত। মহাভারতের ‘বরুণ হ্রদ’ খ্যাত ‘তিলিচো হ্রদ’ হলো পৃথিবীর অন্যতম উচ্চতম হ্রদ, যার উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৯১৯ মিটার। এটি অন্নপূর্ণা সার্কিটের মধ্যেই অবস্থিত। তবে মূল ট্রেকিং রুট থেকে একটু ডাইভার্সন নিতে হয় এখানে পৌঁছাতে। এ হ্রদে পৌঁছানোর পথ কঠিন, পাথুরে এবং বরফে ঢাকা। এজন্য ট্রেকারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে।
‘থরং লা পাস’ হলো অন্নপূর্ণা সার্কিটের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে কঠিন অংশ, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৪১৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম উচ্চ ট্রেকিং পাস হিসেবে পরিচিত। এখানে পৌঁছাতে গেলে প্রচণ্ড ঠান্ডা, পাতলা অক্সিজেন এবং দীর্ঘ চড়াই পথ পার করতে হয়। ‘অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প’ হলো ৪ হাজার ১৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি আইকনিক বেস ক্যাম্প, যেখান থেকে পর্বতারোহীরা অন্নপূর্ণা-১ সামিট অভিযানে যাত্রা শুরু করেন।
যাত্রার শুরু কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই ছিলাম একটু দুষ্টু ও ডানপিটে। আর অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি ঝোঁক ছিল সবসময়। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগতো। তবে অ্যাডভেঞ্চার সাইক্লিংয়ে আসার গল্পটা একটু অন্যরকম। ২০১৬ সালের শুরু দিকে আমার শরীরে লিম্ফোমা টিউমার ধরা পড়ে। বায়োপসি করার পর জানা যায়, এটি ক্যান্সার। যদিও ভাগ্যক্রমে একেবারেই প্রথম স্টেজে ছিল। নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। কিন্তু ডাক্তাররা পরামর্শ দেন নিয়মিত ঘাম ঝরাতে হবে। তখন থেকেই নিয়মিত সাইক্লিং শুরু করি।”
তিনি বলেন, “এরপর পরিচয় হয় গাজীপুর সাইকেল রাইডার্স এর সঙ্গে। ওই সময় থেকেই আমার সাইক্লিংয়ের আসল যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে জীবনের সবচেয়ে সাহসী এক্সপেডিশন করি। বাংলাদেশের টেকনাফে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যাই তৎকালীন বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরযোগ্য রাস্তা খারদুংলা পাস পর্যন্ত। ৭০ দিনের সেই অভিযানই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আমার আসল অ্যাডভেঞ্চার সাইক্লিং লাইফ।”
মিলন গত ১৫ মার্চ বিমানযোগে নেপালের কাঠমন্ডু যান এবং ১৭ মার্চ তার ১৫ দিনের এই সাইকেল যাত্রা শুরু হয়। সবাই আরো উপর থেকে যাত্রা শুরু করলেও ধীরে ধীরে উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু নিচে থেকেই তিনি যাত্রা শুরু করেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে কিছুটা বেশি সময় লাগে তার।
অভিযানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ছিল থরং ফেদিতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি। সেদিন ফ্রিজিং টেম্পারেচার আর লো এয়ার প্রেসারের কারণে আমার সাইকেলের দুইটি ব্রেকই একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি তখন থরং ফেদির ৩৫০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত ব্রিজের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। ব্রেক কাজ না করায় সাইকেলের গতি হঠাৎ বেড়ে যায়। মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আল্লাহর অশেষ রহমতে, সেদিন ব্রিজ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যাইনি। পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।”
তিনি বলেন, “খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্রিজ পার হতেই আবার পড়ে যাই। তখন নেদারল্যান্ডের দুজন ট্রেকার আমাকে উদ্ধার করেন। পা, থুতনি আর শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট পাই। তখন থরং ফেদির একটি লজে দুজন ইতালিয়ান নারী চিকিৎসক আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ বিপদের সময় ওই বিদেশি পর্যটক, চিকিৎসক, আর ডাচ ভদ্রলোকের সহানুভূতি ও সহায়তা আমাকে আবার পথ চলার সাহস দিয়েছে। এ অভিযানে তাদের অবদান আমি কখনো ভুলব না।”
এ অভিযান ও অর্জন তার কন্যা সন্তান মানহাকে উৎসর্গ করেছেন মিলন। তিনি বলেন, “এটি শুধু আমার স্বপ্ন নয়, এটি সেই স্বপ্ন যা আমি চাই আমার মেয়ে অনুভব করুক। আমি চাই সে জানুক, তার বাবা কখনো হার মানেনি। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে, সীমিত সামর্থ্য নিয়ে, একা একা হেঁটে কিংবা প্যাডেল ঘুরিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে গেছে। আর সে যেন জানে, বাবা যেভাবে কঠিন সময়ের মধ্যেও হাল ছাড়েনি, সেও যেন জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহস না হারায়।”
ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখি একদিন, পৃথিবীর সাতটি কঠিনতম সাইক্লিং ট্রেইল ও পাস পাড়ি দেব। পামির হাইওয়ে (মালভূমি হাইওয়ে), যা আমি সাইকেল চালিয়ে অতিক্রম করবো। পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়ে-সেখানে সাইকেল চালানোর স্বপ্নও আমার। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের সীমান্ত পেরিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইক্লিং, যেখানে সংস্কৃতি, প্রকৃতি আর মানুষ একাকার হয়ে যায়।”
“নিজের অভিজ্ঞতা, পথের গল্প, মানুষের হাসি-কান্না আর নিজের ভেতরের আলো খোঁজার লড়াই দিয়ে একটি বই লেখা। যে বইটি শুধু রাস্তাঘাট, ট্রেইল আর পাহাড়ের গল্প নয়, বরং আত্মা, সাহস আর বেঁচে থাকার গল্প হয়ে উঠবে,”-যুক্ত করেন মিলন।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ত কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটন শিল্প বিকাশে আইকন গ্লোবাল ট্যুর অপারেটর আল মামুন
পর্যটকদের লাগেজ বহন করা থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য তুরস্ক ট্যুর ব্র্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়া মো. আল মামুনের গল্প অধ্যাবসায়, সাহস ও দূরদর্শিতার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।
২০০৮ সালে রসায়নে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য মামুন বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে পাড়ি জমান। তাঁর একাডেমিক যাত্রা শুরু হয় তুরস্কের মনোরম শহর ইজমিরে। তৃতীয় বর্ষে তিনি চলে আসেন ইস্তানবুলে আর সেখানেই নিঃশব্দে শুরু হয় তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়।
পড়াশোনার পাশাপাশি মামুন খণ্ডকালীনভাবে পর্যটন খাতে কাজ শুরু করেন। প্রথম চাকরি ছিল ট্রলি বয়ের হোটেল ও বিমানবন্দরে ভ্রমণকারীদের লাগেজ বহন করা। কাজটি ছিল কঠিন, কিন্তু এখানেই তিনি অর্থের চেয়ে অনেক মূল্যবান কিছু শিখেছিলেন পর্যটন শিল্পের প্রকৃত চিত্র।
স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, “আমি দেখতাম, তুরস্কে এসে মানুষ কতটা খুশি হয়। তখনই স্বপ্ন দেখেছিলাম, একদিন আমিও নিজে মানুষকে এই দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাহায্য করব।”
শিক্ষা শেষ করে মামুন সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ও তুরস্কের পর্যটন খাতের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি করবেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি ভ্রমণ সংস্থা, যা বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য তুরস্ক ট্যুর প্যাকেজ এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য সেবা প্রদান করে। তবে শুরুর পথটা ছিল মোটেও সহজ নয়।
তিনি বলেন, “প্রথম বছর আমি বাংলাদেশের বহু ট্রাভেল এজেন্সি পরিদর্শন করেছিলাম। কেউ বিশ্বাস করত না। অনেক পরিশ্রম করেছি, কিন্তু ফল পাইনি। তবুও হাল ছাড়িনি।”
সবকিছু বদলে যায় যখন তিনি ঢাকায় একটি ট্রাভেল ফেয়ারের খবর পান। সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি একটি স্টল বুক করেন নিজের কোম্পানি ও তুরস্ক ট্যুর প্রচারের জন্য। বিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে তিনি নিজের তুর্কি ব্যবসায়িক অংশীদারকেও আমন্ত্রণ জানান মেলায় অংশ নিতে।
তিনি বলেন, “যখন মানুষ দেখল আমাদের স্টলে তুর্কি প্রতিনিধিরা উপস্থিত, তখন তাদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। সেই ট্রাভেল ফেয়ারই ছিল আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।”
মেলার পর মামুন ও তাঁর অংশীদার এক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি ঘুরে ঘুরে নিজেদের সেবা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন, সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ধীরে ধীরে বিশ্বাস অর্জন করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েকটি বাংলাদেশি এজেন্সি তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করে।
অংশীদার তুরস্কে ফিরে গেলেও মামুন থেকে যান বাংলাদেশে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এই বাজারের বিশাল সম্ভাবনায়। পরবর্তী দুই বছর তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। বন্ধুদের প্রশিক্ষণ দেন, তৈরি করেন একটি নিবেদিত টিম। শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিশ্রম সফল হয়। বহু এজেন্সি তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা রাখে ও সহযোগিতা শুরু করে।
বর্তমানে মামুনের প্রতিষ্ঠানটি একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে তিনি ৫৬ সদস্যের একটি দল পরিচালনা করেন, যাদের সহায়তা করছে ইস্তানবুলের ৮ সদস্যের অপারেশন টিম। তুরস্কে রয়েছে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় এবং বাংলাদেশের গাজীপুরে আঞ্চলিক অফিস।
এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি তাঁর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে এবং সবাই সন্তুষ্ট। শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মাল্টা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ফিলিপাইনের মতো ৩৫টিরও বেশি দেশের ট্রাভেল এজেন্সি তাদের ক্লায়েন্ট পাঠাচ্ছে তুরস্কে মামুনের বিজনেস টু বিজনেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারণা এবং সেলিব্রিটি স্পনসরশিপের মাধ্যমে মামুনের প্রতিষ্ঠানটি এখন অন্যতম পরিচিত তুরস্ক ট্যুর ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আজ পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৮০ হাজারেরও বেশি পর্যটক তাঁর কোম্পানির মাধ্যমে তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন সবাই পেয়েছেন পেশাদার সেবা ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
মামুন বলেন, “আমাদের পথ সহজ ছিল না। কিন্তু প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আমাদের আরো শক্ত করেছে। আমরা প্রমাণ করেছি বিশ্বাস, দলগত কাজ ও মানসম্মত সেবাই গ্লোবাল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।”
কোম্পানির অব্যাহত সাফল্যের মধ্যেও মামুন নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে স্পষ্ট বলেন, “আমার লক্ষ্য হলো আমার প্রতিষ্ঠানকে তুরস্কের সেরা ট্যুর অপারেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এমন একটি ব্র্যান্ড, যা বিশ্বাস, উৎকর্ষতা ও অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতীক হবে।”
রসায়ন ছাত্র থেকে বৈশ্বিক পর্যটন শিল্পের নেতৃত্বে পৌঁছে যাওয়া মো. আল মামুনের গল্প তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। যা প্রমাণ করে, সততা, নিষ্ঠা ও নিজের স্বপ্নের প্রতি বিশ্বাস থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়।
ঢাকা/এস