রিতুর ব্যাটে আইরিশ বধ, টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
Published: 13th, April 2025 GMT
রিতু মনির অনবদ্য ইনিংসে ভর করে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। লাহোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা। শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স উপহার দেন অলরাউন্ডার রিতু মনি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। লরা ডেলানি সর্বোচ্চ ৬৩ ও পেন্ডারগেস্ট করেন ৪১ রান। বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া খান ৩টি এবং ফাহিমা খাতুন ২টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ৫১ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন। ফাহিমা খাতুন যোগ করেন ২৪ রান। তবে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন রিতু মনি। সপ্তম, অষ্টম ও নবম উইকেটে গড়া জুটিতে ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে যান তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমার সঙ্গে ৪৫, সপ্তম উইকেটে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে ৪০ এবং নবম উইকেটে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রিতু। নাহিদা অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে পেন্ডারগেস্ট ও আর্লিন কেলি ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাগুইরে, ক্যানিং ও ডেলানি।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে ওপেনার সারা মাত্র ৪ রান করে রানআউট হন। এরপর লুইস ও অ্যামি হান্টার ৫০ রানের জুটি গড়েন। লুইস করেন ২৪ রান, হান্টার ফেরেন ৩৩ রানে। পেন্ডারগেস্ট ও ডেলানি গড়েন ৭২ রানের কার্যকর জুটি। শেষ দিকে ছোট ছোট অবদানে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করে আইরিশরা।
বাছাইপর্বে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। এর আগে থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে হারিয়েছিল জ্যোতিরা, যা মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল লাল-সবুজের দল।
ভারতে আসন্ন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল বিশ্বকাপে জায়গা পেতে হলে বাছাইয়ের শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হবে। ছয় দলের এই পর্বে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল খেলবে একে অপরের বিপক্ষে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড, ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রতিটি ম্যাচই তাই এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস