সোনারগাঁয় কারুশিল্প মেলা শুরু আজ, চলবে ১৫ দিন
Published: 13th, April 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে পক্ষব্যাপী বৈশাখী মেলা। সোনারতরী লোকজ মঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টায় এর উদ্বোধন হবে। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় একই সঙ্গে এখানে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবও উদযাপিত হবে। এদিকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের নানা সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া বিটি মাঠের মূল অংশের বাইরে বৈশাখী মেলা আয়োজনের জন্য উপজেলা বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক দিনের এই আয়োজনের জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে ১৭টি শর্ত।
সোনারগাঁয়ের কারুশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইলিয়া সুমনা। এতে কারুশিল্পীদের হাতের
তৈরি জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠ খোদাইশিল্প, পটচিত্র, শোলা শিল্প,
বাঁশ-বেতশিল্প ও আদিবাসী কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন ও বিপণনের সুযোগ থাকছে।
এ ছাড়াও মেলামঞ্চে প্রতিদিন আয়োজন করা হবে বাউল গান, লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচের। পাশাপাশি হালখাতা, বায়োস্কোপ, সাপের খেলা, নাগর দোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকছে। ২৮ এপ্রিল এই মেলা শেষ হবে।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, বৈশাখী মেলা ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে। কৈশোরের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত স্মরণের জন্য তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দি, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি, কপাল টোক্কাসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হবে।
আজ ভোরে চাষাঢ়ার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাঁশির সুরে শুরু হবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এখানেই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করবে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। অন্যদিকে চারুকলার অনুষ্ঠানের কেন্দ্র হবে দেওভোগে। আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করেছেন রাজা-রানির বিশাল মুখোশ, পেঁচা, বাঘ, ইলিশ মাছ, পাখি ও ফুলের অবয়ব। এবার ঘোড়া ও গ্রামবাংলার নব্বই দশকের টমটম গাড়ির থিম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা চারুশিল্পের কাজ।
রোববার বিকেলে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে চাষাঢ়ার শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ও র্যাব-১১ সিইও লে.
এদিকে বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হলে ওই মাঠ নষ্টের আশঙ্কায় ১০ এপ্রিল তা বন্ধের নির্দেশ দেন কেরানীগঞ্জের ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া। এখানে মেলার আয়োজন করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শামসুন নাহার শিলার সই করা পত্রে ওই মাঠে এক দিনের মেলা আয়োজনের অনুমোদন করা হয়। এতে ১৭টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে প্রশাসন। এই অনুমোদনের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।