নোবেলজয়ী লেখক মারিও বার্গাস ইয়োসা মারা গেছেন
Published: 14th, April 2025 GMT
পেরুর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস ইয়োসা (৮৯) মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে তার ছেলে আলভারো বার্গাস ইয়োসা একটি পারিবারিক বিবৃতি প্রকাশ করেন। আজ সোমবার লেখকের পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল জয় করেন বার্গাস ইয়োসা। সুইডিশ অ্যাকাডেমি তার শক্তিশালী লেখনীর ভূয়সী প্রশংসা করে। মূলত স্প্যানিশ ভাষায় লিখতেন মারিও। শুধু সৃষ্টিশীল সাহিত্য নয়, তিনি গুরুত্ব পেয়েছেন তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী রচনার জন্যও।
পারিবারিক বিবৃতিতে সন্তানদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা মারিও বার্গাস ইয়োসা আজ লিমায় মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্যে শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে তার।
১৯৫২ সালে তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। সেটা ছিল ‘লা গাইড দেল ইনকা’ নামের একটি নাটক। ১৯৬৩ সালে প্রকাশ পায় তার প্রথম উপন্যাস ‘লা সিউদাদ ই লস পেররোস’। ইংরেজিতে এটি ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’ নামে পরিচিত, যা পাঠকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে এক ডজনেরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয় এই গ্রন্থটি।
বার্গাস ইয়োসার স্মরণীয় উপন্যাসের মধ্যে আছে ‘কনভারসেশন ইন দ্য ক্যাথেড্রাল (১৯৬৯)’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য অ্যান্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৮১)’ এবং ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার (১৯৭৭)’। আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার বইয়ের কাহিনী অনুসারে ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় ‘টিউন ইন টুমরো’ নামের সিনেমা।
রোববারের বিবৃতিতে তার তিন সন্তান জানান, বার্গাস ইয়োসার প্রয়াণে তার আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিশ্বজুড়ে তার পাঠকরা শোকে নিমজ্জিত হবেন। তবে আমরা আশা করব আমাদের মতো তারাও এটা জেনে স্বস্তি পাবেন যে তিনি (ইয়োসা) একটি দীর্ঘ, ঘটনাবহুল ও ফলপ্রসূ জীবনযাপন করেছেন এবং মৃত্যুর আগে অসংখ্য সাহিত্যিক সৃষ্টি রেখে গেছেন, যা তাকে অমর করে রাখবে।
পেরুর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বার্গাস ইয়োসার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টও তার নিজ অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন।
পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের আরেকিপায় জন্ম নেন বার্গাস ইয়োসা। তার প্রথম জীবন কাটে বলিভিয়ার কোচাবাম্বায়। সেখানে তার দাদা পেরুর কনসাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সামরিক স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পেরুর রাজধানী লিমায় স্যান মার্কোস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পেশায় সাংবাদিক ও ব্রডকাস্টার ছিলেন বার্গাস ইয়োসা। প্যারিসে বসবাস শুরুর আগে তিনি মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। লন্ডনে কিছুদিন কিংস কলেজে শিক্ষকতা করার পর ওয়াশিংটন ও বার্সেলোনায় কিছুদিন থেকে ১৯৭৪ সালে লিমায় ফেরেন তিনি। ১৯৯০ সালে পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন মারিও বার্গাস ইয়োসা।
তবে দ্বিতীয় দফার ভোটে ভরাডুবি হয় তার—হেরে যান আলবের্তো ফুজিমোরির কাছে। তখন তিনি স্পেনে অভিবাসন করেন। ১৯৯৩ সালে স্পেনের নাগরিকত্ব নেন তিনি। এক বছর পর স্পেনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সেরভান্তেস জেতেন তিনি।
২০১০ সালে নোবেল জয়ের পর তিনি আয়োজকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে ফরাসি লেখক গুস্তাভে ফ্লবার্ত এর নাম উল্লেখ করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজার অংশীজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রবিবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগাগাঁওয়ে বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দেশের পুঁজিবাজারের অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের নাম পরিবর্তনে ডিএসইর সম্মতি
নয় মাসে প্রাইম ফাইন্যান্সের লোকসান বেড়েছে ৩৫.২০ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঈদ পুনর্মিলনী এবং শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান কেএম হাবিবুর রহমান, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদ উজ জামান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন, ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ডিএসই’র বোর্ড সদস্যরা, সিডিবিএল’র ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালেবসহ সিডিবিএল’র বোর্ড সদস্যরা, সিসিবিএল’র বোর্ড সদস্যরা, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীন, বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ডিএসই’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান ও হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির সদস্য আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ জিয়া ইউ আহমেদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বএপিএলসি) শীর্ষ প্রতিনিধিরা, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীসহ দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এদিন বেলা ১২টায় পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি পৃথক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটায় বিএসইসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, কমিশনার মো. আলী আকবর ও কমিশনার ফারজানা লালারুখ-সহ বিএসইসি’র সব গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ বিএসইসি’র সব গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী