নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ