সিলেট জেলা কমিটির সদস্যসচিবের স্বাক্ষরে আহ্বায়ককে অব্যাহতি
Published: 17th, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান খুরশেদকে। গতকাল বুধবার রাতে সংগঠনের সিলেট জেলার সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে ওই সিদ্ধান্ত ভুয়া দাবি করে আকতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে অব্যাহতি দিতে হলে যাঁরা কমিটি গঠন করেছেন, সেই কেন্দ্র থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসতে হবে। সংগঠনের সদস্যসচিবের স্বাক্ষরে আহ্বায়ককে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার নেই।’ এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।
গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২২ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলে লিডিং ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়। সেই মামলায় আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার নির্বাহী কমিটি ও কনভেনর বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগপর্যন্ত সাংগঠনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় বা সাংগঠনিক কার্যক্রম করা থেকে বিরত থাকবেন।
এ ব্যাপারে সংগঠনের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্রাম হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে ও তাঁকে অবহিত করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাহী কমিটির ৩৮ জনের মধ্যে ২৩ জন এ সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বাক্ষর দিয়েছেন। অন্য চারজন সিলেটের বাইরে রয়েছেন, তাঁরা আজই স্বাক্ষর দেবেন। নির্বাহী কমিটির পাশাপাশি সাত সদস্যের নির্বাহী বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সদস যসচ ব আকত র হ স ন স গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী