তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো রাশিয়া
Published: 17th, April 2025 GMT
আফগানিস্তানের তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে রাশিয়া। ২০ বছর যুদ্ধের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফেরে তালেবান। তবে তালেবান সরকারকে এখনো কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু রাশিয়া ধীরে ধীরে তালেবানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন তালেবান রাশিয়ার মিত্র।
রুশ সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে মস্কোর বাইরে একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীরা ১৪৫ জনকে হত্যা করে। ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তালেবান জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য কাজ করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি