ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় প্রথবারের মতো ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ডিআরইউ কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

আরো পড়ুন:

ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

‘জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান অতিথি নিয়াজ মোর্শেদ ডিআরইউয়ের এই আয়োজনে তাকে সম্পৃক্ত করায় তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। সাংবাদিকদের কর্মব্যস্ততার মাঝেও এ ধরনের আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে লেখাপড়ার পাশাপাশি দাবা প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি সদস্য সন্তানদের উৎসাহ প্রদান করেন। ভবিষ্যতেও ডিআরইউয়ের এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আবু সালেহ আকন বলেন, “সদস্য সন্তানরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সন্তানদের সুষ্ঠু মানষিক বিকাশে এবার প্রথমবারের মতো এই দাবা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।”

এ সময় তিনি বছরব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও বলেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “বুদ্ধির খেলা দাবা। ডিআরইউয়ের সদস্য ও সদস্য সন্তানদের নিয়মিত ক্রীড়া আয়োজনের অংশ দাবা প্রশিক্ষণ। তবে সংগঠনের ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, এই আয়োজন প্রশিক্ষনার্থীদের চিন্তা, মেধা ও মননকে সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি এ বছর ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টেসহ অন্যান্য সব ক্রীড়া ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।” 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য কাজী শহীদুল আলম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কামরুল হাসান, শেখ আব্দুল্লাহ, তাওহীদুল ইসলাম, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ, নাহিদ তন্ময়, মনির হোসেন, তাসকিনা ইয়াসমিন ও গোলাম মোস্তফা।

প্রশিক্ষণে ১২ জন সদস্য ও ৩৭ জন সদস্য সন্তান অংশ নেন। প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ডিআরইউ কার্যালয় (৪র্থ তলায়) এক মাসব্যাপী এই দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। 

প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন মো.

শরীফ হোসেন ফিদে মাষ্টার।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউয় র ড আরইউ স সদস য ও

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ