ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু
Published: 18th, April 2025 GMT
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় প্রথবারের মতো ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ডিআরইউ কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
আরো পড়ুন:
ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
‘জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান অতিথি নিয়াজ মোর্শেদ ডিআরইউয়ের এই আয়োজনে তাকে সম্পৃক্ত করায় তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। সাংবাদিকদের কর্মব্যস্ততার মাঝেও এ ধরনের আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে লেখাপড়ার পাশাপাশি দাবা প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি সদস্য সন্তানদের উৎসাহ প্রদান করেন। ভবিষ্যতেও ডিআরইউয়ের এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সালেহ আকন বলেন, “সদস্য সন্তানরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সন্তানদের সুষ্ঠু মানষিক বিকাশে এবার প্রথমবারের মতো এই দাবা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।”
এ সময় তিনি বছরব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও বলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “বুদ্ধির খেলা দাবা। ডিআরইউয়ের সদস্য ও সদস্য সন্তানদের নিয়মিত ক্রীড়া আয়োজনের অংশ দাবা প্রশিক্ষণ। তবে সংগঠনের ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, এই আয়োজন প্রশিক্ষনার্থীদের চিন্তা, মেধা ও মননকে সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি এ বছর ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টেসহ অন্যান্য সব ক্রীড়া ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য কাজী শহীদুল আলম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কামরুল হাসান, শেখ আব্দুল্লাহ, তাওহীদুল ইসলাম, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ, নাহিদ তন্ময়, মনির হোসেন, তাসকিনা ইয়াসমিন ও গোলাম মোস্তফা।
প্রশিক্ষণে ১২ জন সদস্য ও ৩৭ জন সদস্য সন্তান অংশ নেন। প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ডিআরইউ কার্যালয় (৪র্থ তলায়) এক মাসব্যাপী এই দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন মো.
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউয় র ড আরইউ স সদস য ও
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পেশাগত মানসিক চাপ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের জন্য বিনামূল্যে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
‘খোলা জানালা’ নামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ডিআরইউ’র শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে।
ডিআরইউ সদস্য সাংবাদিকরা এখন থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্টের মাধ্যমে পেশাদার, গোপনীয় ও সম্মানজনক পরিবেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘মনের বন্ধু’র প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞরা এই সেবা প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘অনেক শিশু মাইলস্টোনের পর অস্বাভাবিক আচরণ করছে। সাংবাদিকরাও প্রতিনিয়ত ট্রমায় ভোগেন। আমাদের এইসব জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে। সত্য প্রকাশ ও সহানুভূতির জায়গা তৈরি করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘কাঙ্ক্ষিত দেশ গড়তে সাংবাদিকদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই উদ্যোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।’’
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের হাঁসের মতো সব দুঃখ-ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ও সহানুভূতিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’’
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘‘বছরব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে আমরা এই কার্যক্রম চালু করেছি। এর আগে ডিআরইউ সদস্যদের হেপাটাইটিস-বি টিকা, কোভিড-১৯ বুথ, ডায়াবেটিস, কিডনি, গাইনী, লিভার, ডেন্টালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেছি।’’
তিনি আরও জানান, সামনে হেলথ কর্নার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, নারী সদস্য ও শিশুদের জরায়ু ও নিউমোনিয়ার টিকা প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে।
উদ্যোগটির আহ্বায়ক নাদিয়া শারমিন বলেন, “আমরা সাংবাদিকরা অন্যের কণ্ঠস্বর হই, কিন্তু নিজেদের মানসিক যুদ্ধের কথা চাপা পড়ে যায়। ‘খোলা জানালা’ সেই অন্ধকার দূর করার একটি সাহসী পদক্ষেপ।”
ঢাকা/এএএম//