অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ব্যবহারের জন্য কত গিগাবাইট র্যাম ও ধারণক্ষমতা থাকতে হবে, জানাল গুগল
Published: 19th, April 2025 GMT
স্মার্টফোনে র্যাম ও ধারণক্ষমতা কম থাকলে ব্যবহার করা যাবে না অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেম। গুগলের হালনাগাদ মোবাইল সেবা নীতিমালায় বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ১৫ সংস্করণ আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। এতে যুক্ত করা হয়েছে নানা ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সুবিধা। এসব সুবিধা সচল রাখতে ফোনে অন্তত ৪ গিগাবাইট র্যাম ও ৩২ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা থাকতে হবে।
গুগলের তথ্যমতে, বর্তমানে বাজারে থাকা অনেক বাজেট ফোনে ২ বা ৩ গিগাবাইট র্যাম থাকে। তবে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ব্যবহারের জন্য অন্তত ৪ গিগাবাইট র্যাম থাকতে হবে। শুধু তা–ই নয়, এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ব্যবহারের জন্য ফোনের অভ্যন্তরীণ ধারণক্ষমতা হতে হবে কমপক্ষে ৩২ গিগাবাইট, যার অন্তত ৭৫ শতাংশ ব্যবহৃত হবে সিস্টেম অ্যাপ ও ফাইল সংরক্ষণের জন্য।
বিশ্বজুড়ে অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ বাজেট ফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু কম র্যাম ও সীমিত ধারণক্ষমতা থাকায় এসব ফোনে অপারেটিং সিস্টেমের কার্যকারিতা দ্রুত কমে যায়। এর ফলে ব্যবহারকারীরা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন না।
নতুন এ নীতিমালার বিষয়ে গুগল জানিয়েছে, হার্ডওয়্যারের মানোন্নয়ন হলে বাজেট ফোনেও দীর্ঘমেয়াদি সফটওয়্যার সহায়তা, নিরাপত্তা আপডেট এবং উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা যাবে। ইতিমধ্যে প্রিমিয়াম ও মধ্যম বাজেটের অনেক ফোনে ৬ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার আপডেট দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: নিউজ ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ রণক ষমত গ গ ব ইট র ব যবহ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডেস্ক চালু করল বেসিস
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরও বাড়াতে কোরিয়া ডেস্ক চালু করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ মঙ্গলবার বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসিস-কোরিয়া ডেস্কের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে আমেরিকা ও জাপান ডেস্কও চালু করেছে বেসিস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়া উদ্ভাবনমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ। আর তাই দেশটিতে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারত্ব গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. তৈয়বুর রহমান, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তায়ইয়োং, কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইউ ইয়ং ওহ, বাংলাদেশ-কোরিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) সভাপতি শাহাব উদ্দিন খান ও বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য (প্রশাসন) মো. ইমরুল কায়েস।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও শক্তিশালী ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ভাবনী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বেসিস কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে উভয় দেশ একসঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতির বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, যা পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘বেসিস-কোরিয়া ডেস্ক আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের একটি মাইলফলক। এই উদ্যোগ দুই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারকরণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।
বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম বলেন বেসিস কোরিয়া ডেস্ক বাংলাদেশি এবং কোরিয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। বেসিস কোরিয়া ডেস্কের যাত্রা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।