ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬৬ পদে সরকারি চাকরি, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 19th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য তিনটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। ১৯ ক্যাটাগরির পদে মোট ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতাপূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে। আবেদন করা যাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।
আরও পড়ুনসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৬৪ পদে নিয়োগ, বেতনের সঙ্গে নানা সুবিধা৫৫ মিনিট আগেপদের নাম ও পদসংখ্যা
১.
২. ড্রাফটসম্যান, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৩. অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, পদসংখ্যা ৬, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৪. কার্য সহকারী, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৫. ট্রেসার, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৬. নাজির কাম–ক্যাশিয়ার, পদসংখ্যা–১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৭. সার্টিফিকেট পেশকার, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৮. সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
৯. মিউটেশন কাম-সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডের ‘টঙ্গারেওয়া স্কলারশিপ’, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সুযোগ৯ ঘণ্টা আগে১০. অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, পদসংখ্যা-১৬, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
১১. হিসাব সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
১২. সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–
১৩. অফিস সহায়ক, পদসংখ্যা-৫, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৪. পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৫. নিরাপত্তা প্রহরী, পদসংখ্যা-৭, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৬. মালি, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৭. বেয়ারার, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৮. বাবুর্চি, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
১৯. সহকারী বাবুর্চি, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–
আরও পড়ুনইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম মুসলিম দেশ-মঙ্গল শোভাযাত্রা-রেডিও বেগম জেনে নিন বিস্তারিত১৭ এপ্রিল ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা
প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।
চাকরি আবেদনের বয়স
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১-৩-২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদস খ য র জন য সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।
হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।
যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।