চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তদন্ত চলছে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচে দুটি আউট নিয়ে যত সন্দেহ। সেগুলো পুনঃমঞ্চায়নও করে কমিটি। 

এবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ডিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে মুখ খুলেছেন। ব্যাটারকে রান না করার, বোলারকে উইকেট না নেওয়ার নির্দেশ কোনো খেলা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। 

“এই পাতানো খেলাটা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডিভিশনের ক্রিকেটে বড় হারে কমেছে। এটা কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। পাতানো খেলা হলে ওই খেলা দিয়ে আপনি কোনোদিন ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। আপনার সেরা ব্যাটারকে আপনি বলবেন ডাক মেরে আউট হতে। আপনার সেরা বোলারকে আপনি বলবেন ওয়াইড, নো দিতে- উইকেট না নিতে। আসলে এটা কোনো খেলা না।”

উল্লেখ্য, দুটি আউটের মধ্যে প্রথমটি ছিলেন রহিম আহমেদ। ফার্স্ট স্লিপ থেকে ব্যাট নামিয়ে লেগ সাইডে খেলতে চাইলেন এই ব্যাটার। তবে নিহাদুজ্জামানের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে গেল। অবস্থা দেখে মনে হলো, বলটা কিপারের গ্লাভসে যেতে দিতেই যেন ডাউন দ্য উইকেটে উঠে এলেন রহিম।

দ্বিতীয় আউটটি ঘিরেই যত সন্দেহের ডালপালা। নাঈম ইসলামের বলটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন মিনহাজুল। কিপার বল ধরতে দেরি করে ফেলেন। ব্যাটারের সামনে মোক্ষম সুযোগ অনায়াসে পপিং ক্রিজ ছুঁয়ে ফেলার। সেটা করতেও গিয়েছিলেন। পরক্ষণেই কী ভেবে যেন আবার ব্যাট সরিয়ে নিলেন! ডালভাতের মতো সুযোগ পেয়ে স্টাম্পের বেলস দুটো উড়িয়ে দিলেন কিপার।

ফারুক আহমেদ জানান উদাহরণযোগ্য শাস্তি দিতে চায় বিসিবি, “এটা আমরা চেষ্টা করব.

..উদাহরণ তৈরি করা (শাস্তির) খুব জরুরি। এটা নিয়ে আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। আমি এসেছি ২-৩ দিন হয়েছে। এর মধ্যে আমরা চেষ্টা করব এটা নিয়ে একটা তদন্ত করতে। যদি তদন্তে কিছু পাওয়া যায় অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করব আমরা।’’ 

“এটা গোড়া থেকে বলতে হবে। সময়টা খুবই...মানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব জায়গায় মন্দা চলছে। একটু সময় খারাপ যাচ্ছে। পট পরিবর্তনের পর সময় লাগছে”- যোগ করেন ফারুক। 

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ