বন্দরে সন্ত্রাসী পিতাপুত্র গ্রেপ্তার
Published: 19th, April 2025 GMT
বন্দরে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে ইমন (৩০) নামে এক সিএনজি চালক মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। ওই সময় পথচারিরা রক্তাক্ত অবস্থায় সিএনজি চালককে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা হামলাকারি পিতা/পুত্রকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মোল্লা ছেলে অটোচালক মনির উদ্দিন মিনু (৬৫) ও তার সন্ত্রাসী ছেলে হামলাকারি আনোয়ার হোসেন তপু (৩২)।
গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত সিএনজি চালকের পিতা মোঃ আইয়ুব আলী বাদী হয়ে আটককৃত হামলাকারি পিতা/পুত্রসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৩(৪)২৫ ধারা- ১৪৩/ ৩০৭/ ৩২৪/ ৩২৬ পেনাল কোড -১৮৬০।
পুলিশ আটককৃত পিতা/পুত্রকে উল্লেখিত মামলায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় সময় সিএনজি চালক ইমন মোগরাপাড়া হইতে যাত্রী নিয়ে বন্দর ঘাটে আসার পথে বন্দর থানাধীন বাগবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র অটোচালক মনির উদ্দিন মিনু ওভারটেক করার সময় সিএনজি সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনায় উভয় গাড়ীতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি সহ মারপিটের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বাগবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের কম্পাউন্ডে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করাকালে অটো চালক মনির উদ্দিন মিনু ফোন করিয়া তাহার ছেলে আনোয়ার হোসেন তপুকে ঘটনাস্থলে লোকজন নিয়ে আসার জন্য বলে।
ওই সময় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন তপু সিএনজি চালককে হত্যার উদ্দেশ্য সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে।
এ ছাড়াও নবীগঞ্জ মাজার এলাকার আব্দুল ছালাম মিয়ার ছেলে শাওন ও কুশিয়ারা এলাকার শাহজাহান সরকারের ছেলে শাহানুর হাসান শুভ্রসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সিএনজি চালককে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্ত জমাট জখম করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স এনজ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ