ভারতে অনুষ্ঠেয় সেপ্টেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। অষ্টম দল হিসেবে টুর্নামেন্টে জায়গা পাকা করা নারী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।

এক বার্তায় এই অভিনন্দন জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। নিরন্তর পরিশ্রম করে যাওয়া কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমরা ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের ক্রিকেটারদের লক্ষ্য ঠিক রাখার ও প্রস্তুতিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। বিসিবি পুরোপুরি তাদের পাশে আছে। তারা যাতে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ও সেরা ছন্দে থেকে বিশ্বকাপে যেতে পারো, সেজন্য বিসিবি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। বিশ্ব মঞ্চে দেশকে গর্বিত করতে আমরা আমাদের প্রতিভা ও সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখি।’

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমান ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট তোলে। তবে নেট রান রেটে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ