রাজশাহী নগরের ঘোড়ামারা এলাকায় চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে একটি দোকানের ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে মোটরসাইকেলে করে আসা ছিনতাইকারীরা এ ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তভোগী দিলীপ কুমার প্রামাণিক বলেন, তিনি রিলায়েন্স অটো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। আগের দিনের বিক্রির সাড়ে ১২ লাখ টাকা মালিকের কুমারপাড়া চালপট্টি এলাকার বাসা থেকে ব্যাগে করে নিয়ে তিনি রিকশায় করে দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে ঘোড়ামারা এলাকায় পৌঁছালে রিকশাচালক হঠাৎ সাগরপাড়া মহল্লার একটি গলির দিকে মোড় নেন। ঠিক তখনই পেছন থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুই ছিনতাইকারী রিকশার পথ রোধ করে তাঁর চোখে মরিচের গুঁড়ার মতো কিছু ছিটিয়ে দেন। তখন তিনি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁর পিঠে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁর ডান হাতের কনুই ও বাঁ হাতের আঙুল কেটে যায়। ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় প্রায় আড়াই লাখ টাকা রাস্তায় পড়ে যায়, তবে বাকি টাকা নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

রিলায়েন্স অটোর মালিক বিপুল কুমার ঘোষ বলেন, দিলীপ তাঁদের বিশ্বস্ত কর্মচারী। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। প্রতিদিনই তিনি এভাবে টাকা নিয়ে অফিসে আসেন।

ঘটনার পরপরই বোয়ালিয়া থানা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রিকশাচালক ভাড়া না নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা করছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ