নওগাঁয় ফসলের মাঠ থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 20th, April 2025 GMT
নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সৌলকোপা এলাকার একটি ফসলের মাঠ থেকে সরিফ উদ্দীন (৪০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সরিফ উদ্দীন নওগাঁ সদর উপজেলা দুবলহাটি ইউনিয়নের কান মোটকা গ্রামের মৃত মোজাহার দরজির ছেলে।
নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক আবু তাহের স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সরিফ উদ্দীন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। তখন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাননি। আজ (রবিবার) সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের শরীরের অর্ধেক অংশ শিয়ালে খেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নওগাঁ জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/সাজু/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’