রাজধানীতে বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজধানীর ওয়ারী এলাকার একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও তার স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫)।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিট জমজম টাওয়ারের পাঁচ তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে-তারা আত্মহত্যা করতে পারে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
আরো পড়ুন:
রাজশাহী পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাতে স্ত্রীর, দিনে মিলল স্বামীর মরদেহ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বাসায় স্বামী স্ত্রী দুজনই থাকতেন। কারো সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না তাদের। একজন কাজের বুয়া কাজ করতেন। তবে দুই মাস ধরে কাজের বুয়ার বেতন দিতে পারেননি তারা। রোজার ঈদের পরে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বেতন নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজের বুয়া ওই বাসায় গিয়ে অনেকক্ষণ কলিংবেল টিপেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে চলে যান। এরপর শনিবার বিকেলে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে ওই বাসায় আবার যান তিনি। তখন অনেকক্ষণ কলিং বেল বাজানোর পরেও সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে কেচিগেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশেই একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা-স্বামীর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোনো সরকারি কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।’
ঢাকা/এমআর/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ র মরদ হ ওই ব স
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে কিলঘুষি মারা যুবক স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার
গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
রবিবার (১৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার।
আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
জানা যায়, শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকাল ১১টার দিকে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি জানতে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/মাসুম/এস