২০ ঘণ্টা মিলল হারিয়ে যাওয়া মা বিড়াল
Published: 20th, April 2025 GMT
হারিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর সানাউল্লাহ তার পার্সিয়ান জাতের পোষা বিড়ালটি ফিরে পেয়েছেন। বরিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিড়ালটি তার মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন এক ব্যক্তি।
বিড়ালটি হারিয়ে গেলে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এলাকায় মাইকিং করেন সানাউল্লাহ।
আরো পড়ুন: ৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধান পেতে মাইকিং
আরো পড়ুন:
৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধান পেতে মাইকিং
১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলো ‘দুষ্টু-মিষ্টির’
এলাকাবাসী জানান, আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সানাউল্লাহ দেড় বছর আগে পার্সিয়ান জাতের একটি সাদা বিড়াল পুষতে আনেন। বিড়ালটি যত্নসহকারেই তিনি লালন পালন করছেন। ২০ দিন আগে বিড়ালটি সাতটি বাচ্চা প্রসব করে। পরম আদরে মা বিড়ালটি ছানাগুলোকে দেখভাল করছিল।
শনিবার দুপুরে দিকে কোনো এক সময় বিড়ালটি ঘর থেকে বেরিয়ে হারিয়ে যায়। এরপর দিন গড়িয়ে রাত হলেও বিড়ালটি বাসায় ফিরছিল না। এ কারণে রাত ৯টার দিকে বিড়ালের মালিক সানাউল্লাহ আমতলী পৌর শহরের মাইকিং করেন।
মাইকিং করার সময় বলা হয়, শনিবার দুপুরে সাদা রংয়ের পার্সিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল হারিয়ে গেছে। বিড়ালটির ছোট-ছোট সাতটি বাচ্চা রয়েছে। এখন মা বিড়ালটিকে যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে বাচ্চাগুলো মারা যাবে। যদি কেউ বিড়ালটির সন্ধান পেয়ে থাকেন, তাহলে মালিক সানাউল্লাহর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আজ দুপুরের দিকে মা বিড়ালটির সন্ধান পান সানাউল্লাহ। পৌর শহরের বটতলা এলাকার এক ব্যক্তি বিড়ালটি তার বাসায় নিয়ে আসেন।
বিড়ালের মালিক মো.
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন উল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র দিয়ে ডাকাত তকমা, উদ্ধার করল নৌবাহিনী
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ডাকাত তকমা দিয়ে দু’জনকে পিটিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দেশীয় অস্ত্র। ছবি তুলে ও ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে রাখে। যদিও অনেকেই জানতেন না, ঘটনাটি সাজানো। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল আহত দু’জনকে উদ্ধার করে। সোমবার রাতে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধার দু’জন হলেন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরহেয়ার এলাকার মজিবুল হকের ছেলে আরিফ হোসেন এবং একই ইউনিয়নের মোল্লাবাজার এলাকার মো. আশরাফের ছেলে মো. আসিফ। এদের মধ্যে আরিফ পেশায় রিকশাচালক।
স্থানীয়রা জানান, জাহাজমারা আমতলী বাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার চর দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন জহির চেরাং, অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন কাউসার। কাউসারপক্ষ অনেক দিন থেকে চরটির দখল নিয়ে আছে। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে জহির চেরাংয়ের লোকজন চরটির দখল নেওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়। পরে প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও দু’জনকে ধরে তারা বাজারে নিয়ে আসে। পরে ওই দু’জনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পরিকল্পিতভাবে ডাকাত নাটক সাজানো হয়।
ছবি তুলে ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল অবরুদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নৌবাহিনী ও পুলিশের দুটি গোয়েন্দা দলের তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।
আসিফের বাবা আশরাফ জানান, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত নেই। অথচ তাঁকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে নিরপরাধ দাবি করেন তিনি।
আমতলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লিটন জানান, চরের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। পরে নৌবাহিনী এসে তাদের নিয়ে যায়। তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কিনা, তাঁর জানা নেই।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, উদ্ধার দু’জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।