হারিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর সানাউল্লাহ তার পার্সিয়ান জাতের পোষা বিড়ালটি ফিরে পেয়েছেন। বরিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিড়ালটি তার মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন এক ব্যক্তি।

বিড়ালটি হারিয়ে গেলে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এলাকায় মাইকিং করেন সানাউল্লাহ।

আরো পড়ুন: ৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধান পেতে মাইকিং

আরো পড়ুন:

৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধান পেতে মাইকিং

১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলো ‘দুষ্টু-মিষ্টির’

এলাকাবাসী জানান, আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সানাউল্লাহ দেড় বছর আগে পার্সিয়ান জাতের একটি সাদা বিড়াল পুষতে আনেন। বিড়ালটি যত্নসহকারেই তিনি লালন পালন করছেন। ২০ দিন আগে বিড়ালটি সাতটি বাচ্চা প্রসব করে। পরম আদরে মা বিড়ালটি ছানাগুলোকে দেখভাল করছিল। 

শনিবার দুপুরে দিকে কোনো এক সময় বিড়ালটি ঘর থেকে বেরিয়ে হারিয়ে যায়। এরপর দিন গড়িয়ে রাত হলেও বিড়ালটি বাসায় ফিরছিল না। এ কারণে রাত ৯টার দিকে বিড়ালের মালিক সানাউল্লাহ আমতলী পৌর শহরের মাইকিং করেন। 

মাইকিং করার সময় বলা হয়, শনিবার দুপুরে সাদা রংয়ের পার্সিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল হারিয়ে গেছে। বিড়ালটির ছোট-ছোট সাতটি বাচ্চা রয়েছে। এখন মা বিড়ালটিকে যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে বাচ্চাগুলো মারা যাবে। যদি কেউ বিড়ালটির সন্ধান পেয়ে থাকেন, তাহলে মালিক সানাউল্লাহর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন।

আজ দুপুরের দিকে মা বিড়ালটির সন্ধান পান সানাউল্লাহ। পৌর শহরের বটতলা এলাকার এক ব্যক্তি বিড়ালটি তার বাসায় নিয়ে আসেন। 

বিড়ালের মালিক মো.

সানাউল্লাহ বলেন, ‍“বিড়াল ছানাগুলো খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বাধ্য হয়ে মাইকিং করেছি। পরে মা বিড়ালের সন্ধান পেয়েছি। যে ব্যক্তি বিড়ালটি ফেরত দিয়েছেন তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন উল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো. ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার