Risingbd:
2025-08-01@04:37:15 GMT

নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ: অহনা

Published: 21st, April 2025 GMT

নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ: অহনা

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান ধীরে ধীরে অভিনয় জগৎ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাসখানেক আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২৫ সাল থেকেই মিডিয়াতে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন এবং ধাপে ধাপে এই পেশা থেকে পুরোপুরি সরে যাবেন।

এমন ঘোষণার পরপরই ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যান অহনা। সেখান থেকে ফিরে একরকম আমূল পরিবর্তন দেখা যায় তার জীবনযাপনে। পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনায়ও এসেছে গভীর পরিবর্তন। এখন নিয়মিত বোরকা ও হিজাব পরছেন তিনি, আর তাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে অহনা রহমান বলেন, “ওমরাহ্ পালন করে আসার পরে আমি হিজাব পরেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। নাটকের বাইরে মাথার কাপড় ফেলতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ইন্টারভিউতে গেলেও চেষ্টা করি মাথায় কাপড় রাখার।”

তবে নিজের এই পরিবর্তনকে ঘিরে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে অহনাকে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ। হিজাব পরে অ্যাওয়ার্ড নিতে গেলেও দোষ, বডিকন পরে কাজ করলে দোষ, মাথায় কাপড় দিয়ে কাজ করলেও দোষ। তাই এসব নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না।”

ওমরাহ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অহনা বলেন, “যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করেনি, তারা বোঝবেন না এই অনুভূতিটা কেমন। আমার সত্যি শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এত ভালো লেগেছে, মনে হয় মনই ভরেনি।”

মানসিক প্রশান্তির জন্য আবারো সৌদিতে যেতে চান অহনা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আবারো ওমরাহতে যেতে চাই। কারণ যদি কখনো একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। এত সুন্দর জায়গা, কয়েকদিনে মন ভরে না।”

মডেলিং দিয়ে শোবিজে পথচলা শুরু করেন অহনা রহমান। এরপর অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব ছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনে এসেছে এক নতুন মোড়, যেখানে রয়েছে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ব্যক্তিগত আত্মসম্মানের চর্চা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওমর হ

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ