ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান ধীরে ধীরে অভিনয় জগৎ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাসখানেক আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২৫ সাল থেকেই মিডিয়াতে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন এবং ধাপে ধাপে এই পেশা থেকে পুরোপুরি সরে যাবেন।
এমন ঘোষণার পরপরই ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যান অহনা। সেখান থেকে ফিরে একরকম আমূল পরিবর্তন দেখা যায় তার জীবনযাপনে। পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনায়ও এসেছে গভীর পরিবর্তন। এখন নিয়মিত বোরকা ও হিজাব পরছেন তিনি, আর তাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অহনা রহমান বলেন, “ওমরাহ্ পালন করে আসার পরে আমি হিজাব পরেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। নাটকের বাইরে মাথার কাপড় ফেলতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ইন্টারভিউতে গেলেও চেষ্টা করি মাথায় কাপড় রাখার।”
তবে নিজের এই পরিবর্তনকে ঘিরে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে অহনাকে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ। হিজাব পরে অ্যাওয়ার্ড নিতে গেলেও দোষ, বডিকন পরে কাজ করলে দোষ, মাথায় কাপড় দিয়ে কাজ করলেও দোষ। তাই এসব নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না।”
ওমরাহ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অহনা বলেন, “যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করেনি, তারা বোঝবেন না এই অনুভূতিটা কেমন। আমার সত্যি শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এত ভালো লেগেছে, মনে হয় মনই ভরেনি।”
মানসিক প্রশান্তির জন্য আবারো সৌদিতে যেতে চান অহনা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আবারো ওমরাহতে যেতে চাই। কারণ যদি কখনো একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। এত সুন্দর জায়গা, কয়েকদিনে মন ভরে না।”
মডেলিং দিয়ে শোবিজে পথচলা শুরু করেন অহনা রহমান। এরপর অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব ছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনে এসেছে এক নতুন মোড়, যেখানে রয়েছে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ব্যক্তিগত আত্মসম্মানের চর্চা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫