Risingbd:
2025-09-18@04:04:23 GMT

যে রং দেখা যায় না

Published: 22nd, April 2025 GMT

যে রং দেখা যায় না

পৃথিবীতে এমন একটি রং আছে যার নাম ‘ওলো’। কিন্তু এই রং খালি চোখে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই রং আবিষ্কার করেছেন। ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামের একটি সাময়িকীতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রং সবুজ ও নীল রংয়ের মিশেলে তৈরি এই রং। যে রং দেখা যায় না।

তবে মানুষের চোখে লেজার রশ্মি ফেলে এই রং দেখাতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। রেজার রশ্মির আলোড়নের ফরে সবুজ ও নীলের যৌথ আভায় তৈরি ওই রং দেখতে পেরেছেন তারা।  যারা দেখেছেন তারা বলছেন, ‘ওলো’ অসাধারণ এক রং। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রেন এনজি বিবিসিকে জানিয়েছেন,  ‘‘বাস্তব জগতে আপনি যেসব রং দেখতে পান, সেগুলোর যেকোনোটির চেয়ে ‘ওলো’ বেশি গাঢ় ও উজ্জ্বল।’’

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের চোখের রেটিনায় কোণ আকৃতির কোষ রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে এই রং উপলব্ধি করা যায়। এই কোষ আবার তিন ধরনের—‘এস’, ‘এল’ ও ‘এম’। কোষগুলো লাল, নীল ও সবুজ রঙের আলাদা আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল।

আরো পড়ুন:

ওজন কমাতে ‘ডাবল কার্বিং’ এড়িয়ে যাওয়া কেন জরুরি

যে অভ্যাসটি আপনার জীবনকে আমূল পাল্টে দিতে পারে

গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত চোখ দিয়ে কিছু দেখার সময় মানুষের চোখে আলোর কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে ‘এম’ কোষ আলোড়িত হলে, ‘এল’ ও ‘এস’ কোষও আলোড়িত হয়। কিন্তু লেজার রশ্মি ফেলার পর শুধু ‘এম’ কোষগুলো আলোড়িত হয়েছে। যার ফলে চোখ থেকে যে রঙের সংকেত মস্তিষ্কে যায়, তা সাধারণ দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে না। আর এই কারণেই খোলা চোখে ওলো রং দেখা যায় না।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ