রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে ভ্যাটিকান সিটি। ২৬ এপ্রিল, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে কার্ডিনালরা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আগামীকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় নেওয়া হবে। সমাহিত না করা পর্যন্ত পোপের মরদেহ সেখানে জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।

গতকাল সোমবার ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা যান। তাঁর মরদেহ এখন সেখানেই রাখা আছে। পোপের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১২ বছর ওই বাসভবনে কাটিয়েছেন ফ্রান্সিস।

রীতি অনুযায়ী, সাধারণত পোপের মৃত্যুর চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে হয়। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া–সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতাগুলো হয়ে থাকে।

ঐতিহ্যগতভাবে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকে। পোপ ফ্রান্সিস গত বছর সাধারণভাবে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে তিনিই প্রথম পোপ যাঁকে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার সমাধিস্থলে সমাহিত করা হবে না। বরং রোমের ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরি মেজরে সমাহিত হবেন তিনি।

পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে একটি সাধারণ কাঠের কফিনে সমাহিত করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর পূর্বসূরিদের সাইপ্রেস, সিসা এবং ওক গাছের গাছ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী কফিনে সমাহিত করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ত য ষ ট ক র য় র র অন ত য ষ ট ক র য়

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা ঠিক করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগামে হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে- সে সব সিদ্ধান্তও স্বাধীনভাবেই নেবে এই তিন বাহিনী। 

যেমনভাবে মনে হবে, সেরকমভাবেই অভিযান চালানোর জন্য তাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বাহিনীর ওপরই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি।

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠীর সামনেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, কীভাবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং কখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।

বৈঠক চলে মোট ৯০ মিনিট। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহেই পাকিস্তানকে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সুর ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠেও।

সেই আবহেই ভারতে একের পর এক জরুরি বৈঠক চলছে। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠক হয়।

এর ঠিক এক সপ্তাহ আগের মঙ্গলবারেই জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন।

পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই কূটনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।

বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি। নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক পদক্ষেপ। জঙ্গি-নিধন অভিযানও চালাচ্ছে ভারত। পেহেলগামে হামলায় যে জঙ্গিরা জড়িত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তাদেরকে এখনও ধরা না গেলেও সন্ত্রাসবাদী নিধন অভিযান চলছে। খুঁজে-খুঁজে বের করা হচ্ছে জঙ্গিদের। খবর এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি