ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান ও অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত আবারো জুটি বেঁধেছেন। তাদের অভিনীত নতুন নাটক ‘ভাঙা সংসার’। আগামী ২৩ এপ্রিল বিকেলে লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এটি।
নাটকটি রচনা করেছেন জান্নাতারা ফেরদৌস মিলা এবং পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। এতে গ্রামের এক গৃহবধূর জীবনের করুণ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। অহনা রহমান এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে শ্বশুরবাড়িতে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হন। নির্মাতা জানিয়েছেন, বাস্তব জীবনের নানা পারিবারিক কষ্ট ও সামাজিক সচেতনতাই নাটকের মূলবার্তা।
নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, “অহনা অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তার আবেগময় পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। নাটকটির মাধ্যমে আমরা সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”
আরো পড়ুন:
‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’
ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন সিজন, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা
অহনা রহমান বলেন, “অনেক সময় আমাকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। এই নাটকটি সেই ভাবমূর্তি বদলাবে বলে আশা করি। অনেক শ্রম দিয়ে কাজটি করেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে— এই বিশ্বাস নিয়েই অপেক্ষায় আছি।”
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত পারিসা জান্নাত, টুটিয়া ইয়াসমিন, মেহজাবিন নূর, নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, তুহিন খান ও সেজতি খন্দকার। চিত্রগ্রহণ করেছেন মো.
এর আগে অহনা-সীমান্ত জুটি দর্শকদের মন জয় করেছেন জনপ্রিয় নাটক ‘শেষ ইচ্ছা’, ‘ভুল ঠিকানা’ এবং ‘হারানো গল্প’-এর মতো কাজের মাধ্যমে। ‘ভাঙা সংসার’ হতে যাচ্ছে তাদের আরো একটি মাইলফলক প্রজেক্ট, যেখানে কাহিনি, আবেগ ও বাস্তবতার মিশেল দর্শকদের ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা দেবে বলে মনে করেন এর নির্মাতা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।