Risingbd:
2025-04-30@20:02:27 GMT

অহনা-সীমান্তর ‘ভাঙা সংসার’

Published: 22nd, April 2025 GMT

অহনা-সীমান্তর ‘ভাঙা সংসার’

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান ও অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত আবারো জুটি বেঁধেছেন। তাদের অভিনীত নতুন নাটক ‘ভাঙা সংসার’। আগামী ২৩ এপ্রিল বিকেলে লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এটি।

নাটকটি রচনা করেছেন জান্নাতারা ফেরদৌস মিলা এবং পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। এতে গ্রামের এক গৃহবধূর জীবনের করুণ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। অহনা রহমান এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে শ্বশুরবাড়িতে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হন। নির্মাতা জানিয়েছেন, বাস্তব জীবনের নানা পারিবারিক কষ্ট ও সামাজিক সচেতনতাই নাটকের মূলবার্তা।

নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, “অহনা অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তার আবেগময় পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। নাটকটির মাধ্যমে আমরা সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”

আরো পড়ুন:

‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’

ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন সিজন, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা

অহনা রহমান বলেন, “অনেক সময় আমাকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। এই নাটকটি সেই ভাবমূর্তি বদলাবে বলে আশা করি। অনেক শ্রম দিয়ে কাজটি করেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে— এই বিশ্বাস নিয়েই অপেক্ষায় আছি।”

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত পারিসা জান্নাত, টুটিয়া ইয়াসমিন, মেহজাবিন নূর, নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, তুহিন খান ও সেজতি খন্দকার। চিত্রগ্রহণ করেছেন মো.

সুজন। সম্পাদনায় ছিলেন শামীম হোসাইন। সংগীত পরিচালনা করেন শাহরিয়ার রাফাত।

এর আগে অহনা-সীমান্ত জুটি দর্শকদের মন জয় করেছেন জনপ্রিয় নাটক ‘শেষ ইচ্ছা’, ‘ভুল ঠিকানা’ এবং ‘হারানো গল্প’-এর মতো কাজের মাধ্যমে। ‘ভাঙা সংসার’ হতে যাচ্ছে তাদের আরো একটি মাইলফলক প্রজেক্ট, যেখানে কাহিনি, আবেগ ও বাস্তবতার মিশেল দর্শকদের ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা দেবে বলে মনে করেন এর নির্মাতা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।

বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।

নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ