নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দারুণ খেলে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আর বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আইসিসির নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে দুই দেশের একাধিক ক্রিকেটারের। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনার নাহিদা আক্তার। তিনি ক্যারিয়ার সেরা রেটিং নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে।

বল হাতে নজর কেড়েছেন যারা:
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার বাছাইপর্বে ৬ উইকেট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে সেরা ১০ এ উঠে এসেছেন। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা র‍্যাঙ্কিং। পাকিস্তানের স্পিনার সাদিয়া ইকবাল ৯ উইকেট নিয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৭তম অবস্থানে রয়েছেন। তার সতীর্থ ফাতিমা সানা পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ২৭তম। আর ডায়ানা বেগ তিন ধাপ এগিয়ে ৩৫তম।

এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথিউস বাছাইপর্বে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার সেরা বোলার হয়েছেন। তিনি এখনও বোলারদের তালিকায় নবম স্থানে আছেন। তার দুই সতীর্থ অ্যাফি ফ্লেচার ও করিশমা রামহারাক যথাক্রমে তিন ও পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২১ ও ২৫ নম্বরে উঠে এসেছেন।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত দিনে স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও

‘২০১৮’ ফেরাতে চায় জিম্বাবুয়ে

ব্যাট হাতে যাদের অগ্রগতি:
হেইলি ম্যাথিউস শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন। ২৪০ রান করে ব্যাটারদের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে এখন ৫ নম্বরে রয়েছেন। আইরিশ ব্যাটার গ্যাবি লুইস পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৭তম, আর পাকিস্তানের অভিজ্ঞ সিদরা আমিন ঠিক পরের অবস্থানে— ১৮ নম্বরে রয়েছেন।

বাংলাদেশের শারমিন আখতার ব্যাটারদের মধ্যে আট ধাপ এগিয়ে এখন ২১তম। আর আইরিশ তরুণী এমি হান্টার সাত ধাপ উঠে ২৭তম স্থানে রয়েছেন।

স্কটল্যান্ড অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস, যিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন, তিনিও আট ধাপ এগিয়ে ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৫তম অবস্থানে এসেছেন। পাশাপাশি অলরাউন্ডারদের তালিকায় ১৩ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন ৩০ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের মধ্যে আরও যারা অগ্রগতি পেয়েছেন তারা হলেন— আয়ারল্যান্ডের অরলা প্রেন্ডারগাস্ট। যিনি তিন ধাপ এগিয়ে ১১তম। আর পাকিস্তানের ফাতিমা সানা ১০ ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে এসেছেন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স ব ছ ইপর ব এস ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ

নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ
  • সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ