ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে সেরা দশে নাহিদা
Published: 22nd, April 2025 GMT
নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দারুণ খেলে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আর বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিংয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে দুই দেশের একাধিক ক্রিকেটারের। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনার নাহিদা আক্তার। তিনি ক্যারিয়ার সেরা রেটিং নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে।
বল হাতে নজর কেড়েছেন যারা:
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার বাছাইপর্বে ৬ উইকেট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে সেরা ১০ এ উঠে এসেছেন। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং। পাকিস্তানের স্পিনার সাদিয়া ইকবাল ৯ উইকেট নিয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৭তম অবস্থানে রয়েছেন। তার সতীর্থ ফাতিমা সানা পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ২৭তম। আর ডায়ানা বেগ তিন ধাপ এগিয়ে ৩৫তম।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথিউস বাছাইপর্বে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার সেরা বোলার হয়েছেন। তিনি এখনও বোলারদের তালিকায় নবম স্থানে আছেন। তার দুই সতীর্থ অ্যাফি ফ্লেচার ও করিশমা রামহারাক যথাক্রমে তিন ও পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২১ ও ২৫ নম্বরে উঠে এসেছেন।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত দিনে স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও
‘২০১৮’ ফেরাতে চায় জিম্বাবুয়ে
ব্যাট হাতে যাদের অগ্রগতি:
হেইলি ম্যাথিউস শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন। ২৪০ রান করে ব্যাটারদের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে এখন ৫ নম্বরে রয়েছেন। আইরিশ ব্যাটার গ্যাবি লুইস পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৭তম, আর পাকিস্তানের অভিজ্ঞ সিদরা আমিন ঠিক পরের অবস্থানে— ১৮ নম্বরে রয়েছেন।
বাংলাদেশের শারমিন আখতার ব্যাটারদের মধ্যে আট ধাপ এগিয়ে এখন ২১তম। আর আইরিশ তরুণী এমি হান্টার সাত ধাপ উঠে ২৭তম স্থানে রয়েছেন।
স্কটল্যান্ড অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস, যিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন, তিনিও আট ধাপ এগিয়ে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে ৩৫তম অবস্থানে এসেছেন। পাশাপাশি অলরাউন্ডারদের তালিকায় ১৩ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন ৩০ নম্বরে।
অলরাউন্ডারদের মধ্যে আরও যারা অগ্রগতি পেয়েছেন তারা হলেন— আয়ারল্যান্ডের অরলা প্রেন্ডারগাস্ট। যিনি তিন ধাপ এগিয়ে ১১তম। আর পাকিস্তানের ফাতিমা সানা ১০ ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে এসেছেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স ব ছ ইপর ব এস ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।