পাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৫ এপ্রিল
Published: 22nd, April 2025 GMT
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।
আগামী শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন ধাপের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপাচার্য কার্যালয়ে সরকারের প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপাচার্য বলেন, “২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার আওতায় পাবিপ্রবি কেন্দ্রে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা আগামী ২ মে এবং ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা আগামী ৯ মে যথারীতি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থাপত্য বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা ৯ মে বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যাতে সহজেই রুম নম্বর চিহ্নিত করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা হলে লেভেল বিহীন (বোতলের গায়ে নাম সম্বলিত কাগজ) পানির বোতল কেন্দ্রে নিতে পারবেন। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস এবং মেডিকেল টিম থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ১৫ মিনিট পরপর সময়ের বিষয়টি উল্লেখ করবেন। পরীক্ষার্থীদের নিজস্ব বহনকারী গাড়ি পার্কিং করা যাবে ক্যালিকো কটন মিল ও তার বিপরীত পাশের মাঠে। অভিভাবকদের জন্য শেডে বসা ও পানি পানের ব্যবস্থা থাকবে।”
এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার আগের দিন ফটোকপিয়্যার মেশিন বন্ধ থাকবে। পুলিশ প্রশাসন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবেন। ছাত্রাবাসগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হবে। কোনো ডিভাইস কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্য, আসনার সদস্য ও রোভার স্কাউট থাকবে।
সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট ও কো-ফোকাল পয়েন্ট, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক, আইসিটি সেলের পরিচালক, হল প্রভোস্ট,ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উম্মে তাবাসসুম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরিফুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র উপ চ র য ইউন ট র অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।