মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে
Published: 22nd, April 2025 GMT
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৪ রান তুলতেই হারিয়েছে টপ-মিডল অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট। তারপরও সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের লিড দেওয়ার চিন্তার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুমিনুল হক।
একই প্রশ্নে সফরকারী দলের দীর্ঘদেহি পেসার ব্লেজিং মুজুরাবানি তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দুইশ’ রানের নিচে দলের জয়ের লক্ষ্য রাখতে চান তারা। জিম্বাবুয়ের ৮২ রানের লিড শোধ করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানের লিড নিয়েছে। যার অর্থ বাকি ৬ উইকেট ৮৮ রানের মধ্যে নিতে চান মুজুরাবানিরা।
জিম্বাবুয়েকে কত লক্ষ্য দিতে চান এমন প্রশ্নে মুমিনুল হক বলেন, ‘তিনশ’ হলে খুব ভালো, না হলে অন্তত ২৭০-২৮০ রান।’ ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও এতো রান করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস আছে। আত্মবিশ্বাসের কারণ মিরাজ ছাড়াও তাইজুল, হাসানরা যারা টেলেন্ডে আছে এরা ব্যাটিং করতে পারে।’
তিনশ’ ছোঁয়া রানের লিড নিতে গেলে দলের বাকি ব্যাটারদের হিসেব করে ব্যাট করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বাঁ-হাতি ব্যাটার মুমিনুল। চতুর্থ দিন সকালটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি, ‘এসব জায়গায় খুব ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং করতে হবে। সকালে হয়তো কঠিন সময় আসবে, ওই সময়টা দেখে-শুনে-বুঝে ব্যাটিং করতে হবে। আবার একটা সময় দেখবেন খেলাটা হয়তো ছাড়বে (সহজে খেলা যাবে), তখন খেলাটা ধরতে হবে। তখন লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হবে।’
শান্তর সঙ্গে মুমিনুল হক ৬৫ রানের জুটি গড়েন। মুমিনুলের ভাষ্যে ওই সময়ে খেলা কিছুটা সহজ ছিল। জুটিটা অন্তত ১৫০ রানের না হওয়ায় আক্ষেপ করেন টেস্টে দেশের চতুর্থ সর্বাধিক রান করা এই ব্যাটার, ‘আমার ও শান্তর একটা জুটি হয়েছে। ম্যাচ ধরার সময় ছিল ওটা। কিন্তু আমরা মিস করে গেছি। জুটিটা ১৫০ থেকে ১৮০ রানের হলে তিনশ’র কাছে লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব ছিল।’
তৃতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে দলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখছেন মুজুরাবানি। তবে ম্যাচে ভারসাম্যের বিয়ষটিও স্বীকার করেন তিনি, ‘কঠিন দিন ছিল। বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করেছে। তবে দিনটা আমাদের দিকেই ঝুঁকে আছে। অবশ্যই আমরা ম্যাচে আছি। টেস্ট ক্রিকেটে দিন ধরে ধরে এগোতে হয়। ম্যাচে এখনো অনেক সময় আছে এবং ভারসাম্যাপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে আমি মনে করি, আমরা এখনো কিছুটা এগিয়ে আছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত