সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৪ রান তুলতেই হারিয়েছে টপ-মিডল অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট। তারপরও সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের লিড দেওয়ার চিন্তার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুমিনুল হক।

একই প্রশ্নে সফরকারী দলের দীর্ঘদেহি পেসার ব্লেজিং মুজুরাবানি তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দুইশ’ রানের নিচে দলের জয়ের লক্ষ্য রাখতে চান তারা। জিম্বাবুয়ের ৮২ রানের লিড শোধ করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানের লিড নিয়েছে। যার অর্থ বাকি ৬ উইকেট ৮৮ রানের মধ্যে নিতে চান মুজুরাবানিরা।

জিম্বাবুয়েকে কত লক্ষ্য দিতে চান এমন প্রশ্নে মুমিনুল হক বলেন, ‘তিনশ’ হলে খুব ভালো, না হলে অন্তত ২৭০-২৮০ রান।’ ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও এতো রান করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস আছে। আত্মবিশ্বাসের কারণ মিরাজ ছাড়াও তাইজুল, হাসানরা যারা টেলেন্ডে আছে এরা ব্যাটিং করতে পারে।’

তিনশ’ ছোঁয়া রানের লিড নিতে গেলে দলের বাকি ব্যাটারদের হিসেব করে ব্যাট করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বাঁ-হাতি ব্যাটার মুমিনুল। চতুর্থ দিন সকালটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি, ‘এসব জায়গায় খুব ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং করতে হবে। সকালে হয়তো কঠিন সময় আসবে, ওই সময়টা দেখে-শুনে-বুঝে ব্যাটিং করতে হবে। আবার একটা সময় দেখবেন খেলাটা হয়তো ছাড়বে (সহজে খেলা যাবে), তখন খেলাটা ধরতে হবে। তখন লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হবে।’

শান্তর সঙ্গে মুমিনুল হক ৬৫ রানের জুটি গড়েন। মুমিনুলের ভাষ্যে ওই সময়ে খেলা কিছুটা সহজ ছিল। জুটিটা অন্তত ১৫০ রানের না হওয়ায় আক্ষেপ করেন টেস্টে দেশের চতুর্থ সর্বাধিক রান করা এই ব্যাটার,  ‘আমার ও শান্তর একটা জুটি হয়েছে। ম্যাচ ধরার সময় ছিল ওটা। কিন্তু আমরা মিস করে গেছি। জুটিটা ১৫০ থেকে ১৮০ রানের হলে তিনশ’র কাছে লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব ছিল।’

তৃতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে দলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখছেন মুজুরাবানি। তবে ম্যাচে ভারসাম্যের বিয়ষটিও স্বীকার করেন তিনি, ‘কঠিন দিন ছিল। বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করেছে। তবে দিনটা আমাদের দিকেই ঝুঁকে আছে। অবশ্যই আমরা ম্যাচে আছি। টেস্ট ক্রিকেটে দিন ধরে ধরে এগোতে হয়। ম্যাচে এখনো অনেক সময় আছে এবং ভারসাম্যাপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে আমি মনে করি, আমরা এখনো কিছুটা এগিয়ে আছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ