এনআইডি সংশোধনে ক্ষমতা পেলেন ইসির জেলা কর্মকর্তারা
Published: 22nd, April 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা পেলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। আগে এই ক্ষমতার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালকের ছিল।
মঙ্গলবার ইসির একাধিক সূত্রগুলো বিষয়টি জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুলে থাকা চার লাখ এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে কার্যক্রমের অগ্রগতি কম। তাই অধিকতর জটিল আবেদন মাঠ পর্যায়ে নিষ্পত্তির জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে 'গ' ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। এক্ষেত্রে কেবল যে আবেদনগুলো তারা নিষ্পত্তি করতে পারবেন না বলে প্রতীয়মান হবে সেগুলো এনআইডি মহাপরিচালককে ফরওয়ার্ড করতে বলা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন জটিলতা ধরণ অনুযায়ী 'ক' থেকে 'ঘ' ক্যাটাগরি পর্যন্ত আবেদন ভাগ করে নিয়ে নিষ্পত্তি করে থাকে। এক্ষেত্রে আগামী জুন মাসের মধ্যে সকল ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে সংস্থাটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ