পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর কক্ষে মিলল ছাত্রীর মরদেহ
Published: 22nd, April 2025 GMT
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর নিজ কক্ষ থেকে রিমি (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলীপুর অগ্রাণী ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রিমি উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তিনি চাঁদপুরের বাসিন্দা আ.
রিমির মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে রিমি বাসায় এলে আমি খাওয়ার জন্য ডাকি। পরে খাবে ও পরীক্ষা ভালো হয়নি জানিয়ে ঘরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পরে আবার খাওয়ার জন্য ডাকাডাকির করলে কোনো সাড়া শব্দ না পাইনি। তখন বাড়ির মালিককে খবর দেই। তারা এসে জানালা দিয়ে দেখেন, রিমি নিচে পড়ে আছে। তখন দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে তুলাতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ বিষয়ে মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হাওলাদার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত্যু অবস্থায় পেয়েছি। পরিবারের লোকজন যারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল তারা বলছেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে পেয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।