আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আমি তো বহু জিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা বোঝে না। তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে মা-এরা পশুর মতো, বরং তার চেয়েও ভই। এরাই অবহেলাকারী।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৭৯)
বেশ কিছু বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে জানা যায়, শয়তানদের জিহ্বা ও লালা আছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিনেরা তিন ধরনের। প্রথম প্রকার হলো, যাদের পাখা আছে, যার সাহায্যে তারা বাতাসে উড়তে পারে। দুই. যারা কুকুর ও সাপের বেশ ধরে থাকে। তিন. যারা এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়, আবার কোথাও অবস্থান করে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, ৩,৭০২)
তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় প্রকারের জিন যদি বাসাবাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও সাপের বেশে দেখা যায় এবং বোঝা না যায়, সেটা সাপ না জিন, তা হলে সাপ হিসেবে এর অনিষ্ট থেকে বাঁচতে, সেটাকে মেরে ফেলা যাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,২৮৯)
তৃতীয় প্রকারের জিন যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায়। ইচ্ছে হলে কোথাও নেমে থাকতে শুরু করে। কিছুদিন বা কয়েক মাস অথবা কয়েক বছর থাকার পর আবার চলে যায়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোরগের ডাক শুনলে তোমরা আল্লাহর কাছে রহমতের দোয়া করবে। কারণ মোরগ ফেরেশতাদের দেখতে পায়। আর গাধার ডাক শুনলে আল্লাহর কাছে শয়তানের কবল থেকে আশ্রয় চাইবে। কারণ গাধা শয়তানকে দেখতে পায়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩,৩০৩)।
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, গাধা ও কুকুর জিনদের দেখতে পায়। আল্লাহতায়ালা প্রাণীদের এমন অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন, যা মানুষদের দেননি। নির্দিষ্ট প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নির্ণয় করা হয়। ভূমিকম্পের আগমন টের পেলে এসব প্রাণী খুব দ্রুত পালিয়ে বেড়ায়। এরা এমন সব আওয়াজ শোনে, যা মানুষ শুনতে পায় না। আধুনিক প্রযুক্তি এখনো এতটা উন্নত হয়নি, যা দিয়ে পৃথিবীর বুকের ভেতর প্রোথিত এসব ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত থেকে নিশ্চিতভাবে আগাম সতর্কতা লাভ করা যায়।
অথচ মানুষকে সেই সক্ষমতা দেননি। আল্লাহ তায়ালা জিন ও শয়তানদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে (শয়তান) ও তার দলবল তোমাদের যেভাবে দেখতে পায়, তোমরা তাদের সেভাবে দেখতে পাও না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৭)
আরও পড়ুনইবলিসের কাহিনি১২ মে ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন আল ল হ শয়ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।