পেশাগত দায়িত্ব অনেক সময়ই একঘেয়ে মনে হয়, তেতো লাগে। শারীরিক কারণে তিতের কাছেও এখন হয়তো তেমনই লাগছে।

রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ডাগআউটে দাঁড়ানো এই কোচ কোচিং পেশা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিতে যাচ্ছেন। গতকাল ছেলে মাথেউস বাচির ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৬৩ বছর বয়সী তিতে জানিয়েছেন, তাঁর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন প্রয়োজন, ‘আমি যে কাজ (কোচিং) করি, সেটার প্রতি এখনো আমার টান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু আমার শরীর যে সংকেত দিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করার পর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ক্যারিয়ার থেকে বিরতি নেওয়া এবং যতটা সম্ভব নিজের যত্ন নেওয়াই এখন আমার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।’

তিতে আরও বলেন, ‘আমি অনুধাবন করতে পারছি যে এই মুহূর্তে একজন মানুষ হিসেবে আমি দুর্বল হতে পারি। তবে এটি (অনির্দিষ্টকালের বিরতি) অবশ্যই আমাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’

৬ বছর ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিতে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ